National

অপহরণকারীর সঙ্গে এ কি করলেন তরুণী, বাকরুদ্ধ পরিবার থেকে পুলিশ

একেই হয়তো বলে কাহিনিতে ট্যুইস্ট। যে ব্যক্তি তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গেলেন, তাঁর সঙ্গেই এমন এক কাণ্ড করে বসলেন এক তরুণী। সব শুনে বাকরুদ্ধ পুলিশও।

Published by
News Desk

এক ১৯ বছরের তরুণীকে তাঁরই বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যান এক ব্যক্তি। সিসিটিভিতে সেই ঘটনা ধরাও পড়ে। মুখে মুখোশ থাকায় ওই ব্যক্তিকে চেনাও যায়নি।

এদিকে মেয়ে কোথায় গেলেন তা জানতে উদ্বেগে ছোটাছুটি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। পুলিশও তৎপর হয় ওই তরুণীকে খুঁজে বার করতে। অপেক্ষা করা হয় অপহরণকারী কোনও মুক্তিপণ দাবি করছে কিনা সেদিকেও।

কিন্তু মুক্তিপণ চাওয়ার জায়গায় একটি ছবি পৌঁছয় পরিবারের কাছে। সেখানে ওই তরুণীকে সদ্যবিবাহিতা অবস্থায় দেখা যায়। পাশে এক যুবক। যাঁকে ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন থেকে পুলিশ সকলেই চেনেন।

তরুণী জানান, তাঁকে তাঁর প্রেমিক জ্ঞানেশ্বরই অপহরণ করেছিলেন। তবে তখন তিনি তাঁকে চিনতে পারেননি। মুখে মুখোশ থাকায় তিনিও প্রথমে মনে করেছিলেন তাঁকে অপহরণ করা হচ্ছে।

কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন যে তাঁকে অন্য কেউ নয় তাঁর প্রেমিকই অপহরণ করেছেন। অপহরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁরা একটি মন্দিরে বিয়েও সেরে ফেলেন।

শামিলি নামে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তিনি গত ৪ বছর ধরে জ্ঞানেশ্বরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। গত বছর তাঁরা বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু তখনও তাঁর বয়স ১৮ না হওয়ায় তাঁর পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে জ্ঞানেশ্বরকে জেলে পাঠায়।

১ বছর পর এখন তিনি সাবালিকা। ফলে এখন তিনি নিজের ইচ্ছায় বিয়েতে আইনত সমর্থ। শামিলি এও জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের তরফে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ের স্থির করেছিল।

জ্ঞানেশ্বর দলিত বলে তাঁকে জামাই হিসাবে গ্রহণ করতে তাঁর পরিবারের আপত্তি রয়েছে। সেজন্য এভাবে তাঁদের বিয়ে করতে হল। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার রাজন্যা শিরশিলা জেলার মুদেপাল্লে গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk