ডোগো আর্জেন্টিনো প্রজাতির কুকুর, প্রতীকী ছবি
পেশায় ব্যবসায়ী রাহুল তখন বাড়িতেই ছিলেন। রাহুলের পরিবারের দাবি, বাড়িতে ৩ ব্যক্তি এসে হাজির হয়। তারা রাহুলের কাছে সরাসরি পোষা কুকুরটি দাবি করে।
নিজের পোষা কুকুরটি ওই ৩ জনের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করেন রাহুল। বেশ খানিকক্ষণ কথা কাটাকাটির পর ওই ৩ জন রাহুলকে জোর করে বাইরে টেনে নিয়ে যায়। তারপর যে গাড়িতে তারা এসেছিল সেই গাড়িতে রাহুল প্রতাপকেও চড়িয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয়।
রাহুল অপহৃত হওয়ার পর অপহরণকারীদের তরফ থেকে বাড়িতে ফোন আসে। তারা রাহুলের ফোন থেকেই ফোনটি করে। জানায় যে রাহুলকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেতে তাঁর পোষা কুকুরটি ওই অপহরণকারীদের হাতে তুলে দিতে হবে। নাহলে তারা রাহুলকে হত্যা করবে।
এদিকে বিষয়টি জানার পর পরিবারের তরফে পুলিশে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে জানতে পেরে অপহরণকারীরা রাহুল প্রতাপকে পরদিন রাস্তার ওপর ফেলে রেখে চম্পট দেয়। তাঁর কোনও ক্ষতি অবশ্য তারা করেনি।
গ্রেটার নয়ডার বাসিন্দা রাহুল প্রতাপ এরপর পুলিশের কাছে গিয়ে ৩ জনের সম্বন্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ৩ জনের নামও পুলিশকে জানান তিনি।
অপহরণকারীদের সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার পর পুলিশ তাদের খুঁজতে নেমে পড়ে। যদিও তারা পালিয়েছে। তবে পুলিশের আশা তাদের দ্রুত পাকড়াও করা সম্ভব হবে।
তবে একটা কথা পুলিশের কাছেও পরিস্কার হচ্ছেনা। কেবল একটা কুকুর পাওয়ার জন্য ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার ঝুঁকি কেন নিল অপহরণকারীরা? এটাই তাদের কাছে পরিস্কার হচ্ছেনা।