National

পরেশনাথ পাহাড়কে পর্যটন আকর্ষণ করা যাবেনা, প্রতিবাদের পারদ চড়ছে

পরেশনাথ পাহাড়কে কেন্দ্র করে পর্যটনে জোয়ার আনতে তাকে পর্যটনকেন্দ্র ঘোষণা করেছে সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পারদ চড়ালেন জৈন ধর্মাবলম্বীরা।

Published by
News Desk

ঝাড়খণ্ডের সর্বোচ্চ শিখর পরেশনাথ পাহাড়। ১৩৬৬ মিটার উঁচু পাহাড়টিতে জৈন ধর্মাবলম্বীদের আনাগোনা লেগেই থাকে। জৈনদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান হল পরেশনাথ পাহাড়।

জৈনধর্মের ২৪ জন তীর্থঙ্করের মধ্যে ২০ জনই এই পরেশনাথে নির্বাণ লাভ করেন। ফলে জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে পরেশনাথ পাহাড়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

দেশ বিদেশের বহু জৈন ধর্মাবলম্বী মানুষ সারা বছর পরেশনাথ পাহাড়ে হাজির হন তীর্থ করতে। সেই পরেশনাথ পাহাড়কে অন্যতম পর্যটন ক্ষেত্র হিসাবে ঘোষণা করেছে সরকার। যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন জৈনরা।

একাধিক শহরে জৈন সাধুরা পথে নেমেছেন। সরকারকে পরেশনাথ পাহাড়কে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার ঘোষণা ফিরিয়ে নিতে হবে। এটাই তাঁদের দাবি। বিশ্বজুড়েই জৈন ধর্মাবলম্বীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন।

পরেশনাথ পাহাড়ের একটা বড় অংশ জঙ্গলে ঘেরা। সেখানে অনেক জৈন মন্দিরও রয়েছে। এই বিশাল জঙ্গলকে একটি অভয়ারণ্য করার প্রস্তাব যায় ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফ থেকে। সেইসঙ্গে ইকো ট্যুরিজমে জোর দেওয়ার প্রস্তাব যায় কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রকের কাছে।

সেইমত পরেশনাথ পাহাড় যা সম্মেদ শিখর নামেও পরিচিত, সেটিকে একটি পর্যটনকেন্দ্রের মর্যাদা দেয় সরকার। সেখানেই আপত্তি তুলেছেন জৈন ধর্মাবলম্বীরা।

এখানে ইকো ট্যুরিজম বা আধ্যাত্মিক নয় এমন কাজকর্ম শুরু করা সম্পূর্ণ ভুল কাজ বলে ব্যাখ্যা করে সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা। বিশ্ব জৈন সংগঠনের তরফে মধ্যপ্রদেশে একটি মৌন মিছিলও আয়োজন করা হয়। যাতে বহু জৈন ধর্মাবলম্বী অংশ নেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk