অভিনব সাইকেল, ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – @anandmahindra
কথায় বলে প্রয়োজনই হল আবিষ্কারের জন্মদাত্রী। আবিষ্কার হয় প্রয়োজনের পারদ তুঙ্গে উঠলে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন তো ছিলই। তেলের আকাশ ছোঁয়া দাম ক্রমশ মানুষের পকেট ফাঁকা করে দিচ্ছে জ্বালানি চালিত যান ব্যবহারের টিকিট কাটতে বা জ্বালানি কিনতে। আবার সাধারণ সাইকেলে ১ বা ২ জন যেতে পারেন।
২২ বছরের এক আইটিআই পাশ করা তরুণ কিন্তু এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করেছেন। তিনি একটি সাইকেল বানিয়ে ফেলেছেন। তাও আবার কার্যত ফেলে দেওয়া লোহালক্কড়কে কাজে লাগিয়ে।
সাইকেলটি ব্যাটারি চালিত। লিথিয়াম ব্যাটারিতে সাইকেলটি চলে। যা ৬টি আসন সম্পন্ন। অর্থাৎ সাইকেলে চেপে অনায়াসে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ৬ জন যেতে পারেন।
সাইকেলটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। একবার পুরো চার্জ দিলে ১৫০ কিলোমিটার যেতে পারে এটি। টানা ৫ ঘণ্টা চললে তারপর একবার চার্জে বসাতে হয়।
ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে ইলেকট্রিক খরচ ৮ থেকে ১০ টাকা। শুধু ৬ জনকে আরামে নিয়ে যাওয়াই নয়, এটি পরিবেশ বান্ধবও বটে।
মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রা এই সাইকেলের ভিডিও শেয়ার করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি আনন্দ মহিন্দ্রার মতে, তিনি নিজেও এই সাইকেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন। কারণ এই সাইকেল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি বিশ্বের নামকরা পর্যটন স্থলেও দারুণভাবে কার্যকরী হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের ছেলে আসাদ আবদুল্লা এবার তাঁর এই আবিষ্কারের পেটেন্ট নিতে চাইছেন। তিনি জানিয়েছেন, এমন একটা আইডিয়া মাথায় আসার পর সাইকেলটি তৈরি করতে তাঁর ১ মাসের মত সময় লেগেছে। সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা।
এখন আসাদ চাইছেন এটিকে আরও কিছুটা ঘষেমেজে তৈরি করে নিতে। আসাদ চান এই সাইকেল তিনি আগামী দিনে বিক্রি করবেন। তাও কম দামে। যাতে তা অনেকেই কিনতে পারেন। গ্রামে এই ৬ আসনের ব্যাটারি চালিত সাইকেল এক যুগান্তের জন্ম দিতে পারে বলে মনে করছেন তাবড় বিশেষজ্ঞেরাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা