National

সহ্য হল না পরিবারের গঞ্জনা, হাসপাতালে গিয়ে অন্য মা হলেন মহিলা

মা না হওয়ায় পরিবার, পরিজনদের গঞ্জনা দীর্ঘদিন ধরেই সহ্য করতে হচ্ছিল এক মহিলাকে। একসময় তা সহ্য করতে না পেরে অন্য পথ নিলেন তিনি।

Published by
News Desk

বিয়ে হয়ে গেছে ১৮ বছর। কিন্তু এখনও সন্তানের মুখ দেখার সুযোগ হয়নি তাঁর। নিঃসন্তান হয়ে এতদিন কাটানোর যন্ত্রণা তো ছিলই, সেইসঙ্গে পরিবার, পরিজন, আত্মীয়ের গঞ্জনা, হাসিঠাট্টা প্রতিনিয়ত সহ্য করতে হচ্ছিল।

এভাবে এক সময় তাঁর সহ্যের বাঁধ ভাঙে। একদিন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ঘুরে এসে তিনি সকলকে একটা সুখবর দেন। জানান তিনি মা হতে চলেছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসককে তিনি দেখিয়ে এসেছেন।

ফলে পরিবারে মা না হওয়ার জন্য গঞ্জনা থেকে মুক্তি পান ওই মহিলা। এদিকে পরিবারের লোকজনও দেখেন মাঝে মধ্যেই ওই মহিলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছেন চেকআপ করাতে। এভাবে কেটে যায় প্রায় ৬ মাস।

৬ মাস পর একদিন পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসককে দেখাতে যান ওই মহিলা। সেখানে তিনি কোলে একটি শিশু নিয়ে হাজির হন। জানান তাঁর পেটে যন্ত্রণা হতে হতে সন্তান প্রসব হয়ে গেছে।

চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অকালেই জন্ম নেওয়া শিশুটিকে দেখতে গিয়ে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসক। দেখেন একটি প্লাস্টিকের পুতুল কোলে করে এসেছেন ওই মহিলা। তাঁর এক্স-রে প্লেটও দেখাতে চান তিনি।

চিকিৎসকের বুঝতে অসুবিধা হয়না যে মহিলা সাজানো কাহিনি বলছেন। চিকিৎসক এও জানান দিনের পর দিন গঞ্জনা শুনতে শুনতে ওই মহিলা অসহ্য হয়েই এমনটা করেছেন।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পেটের গোলমালের চিকিৎসা চলছিল ওই মহিলার। সেজন্য মাঝে মাঝেই তাঁকে চিকিৎসকের কাছে আসতে হত। সেই যাতায়াতকে পরিবারের কাছে সন্তানসম্ভবা হিসাবে চেকআপ বলে মন গড়া কাহিনি পেশ করেছিলেন মহিলা।

সবই করেছিলেন দিনের পর দিন উঠতে বসতে শোনা গঞ্জনার হাত থেকে রেহাই পেতে। যদিও তাঁর এই পুতুলের মা হওয়ার মন গড়া কাহিনি কিছুদিনের জন্য হলেও তাঁকে শান্তি দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk