ভারতীয় বিয়ে, প্রতীকী ছবি
প্রেমপর্বের শুরুটা হয়েছিল স্কুলের মাঠে। কল্পনা খুব ভাল কাবাডি খেলতেন। এতটাই ভাল খেলতেন যে একসময় রাজ্যস্তরে খেলার সুযোগও পেয়ে যান। এমনকি দুবাইতেও একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ডাক পড়ে তাঁর।
এদিকে স্কুলে কল্পনার ফিজিক্যাল এডুকেশন শিক্ষিকা ছিলেন মীরা। তিনি কল্পনাকে ভালবেসে ফেলেন। কল্পনাও মীরাকে ভালবাসতেন।
শিক্ষিকা ও ছাত্রীর এই প্রেম যতই গভীর হোক না কেন, তার পরিণতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। সমলিঙ্গে বিয়ে তো ভারতীয় সমাজে বড় একটা প্রচলিত নয়। কিন্তু মীরা ও কল্পনা স্থির করেন তাঁরা আর কাউকে নয়, একে অপরকে বিয়ে করবেন।
মীরা শারীরিকভাবে মহিলা হলেও তাঁর দাবি তিনি ছোট থেকেই নিজেকে ছেলে বলে মনে করতেন। তাঁর হাবভাবেও তেমনটাই প্রকাশ পেত।
মীরা স্থির করেন সমলিঙ্গে বিয়ে নয়, তিনি একজন পুরুষ হিসাবেই কল্পনাকে বিয়ে করবেন। ২০১৯ সালে তিনি নিজের লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। কঠিন সিদ্ধান্তে তিনি পাশে পান কল্পনাকে।
অবশেষে মীরা লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়ে মীরা থেকে আরব কুন্তল হয়ে যান। সেই আরব এবার বিয়ে করে ফেললেন কল্পনা ফৌজদারকে। বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হল তাঁদের।
এ বিয়ে নিয়ে ২ পরিবারেরও কারও কোনও আপত্তি ছিলনা। ফলে তাঁদের বিয়েতে খুশির সীমা ছিলনা। রাজস্থানের ভরতপুরের এই ঘটনা কিন্তু দেশে বিরলতম একটি বিয়ে হয়ে রইল। যেখানে এক নারী অন্য নারীকে বিয়ে করতে চেয়ে নিজের লিঙ্গ বদলে পুরুষ হলেন এবং বিয়েটাও করলেন তাঁর ভালবাসার নারীকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা