National

প্রসাদই ছিল খাবার, চলে গেল দেশের একমাত্র নিরামিষাশী কুমির

মন্দিরের বিশাল চত্বরে যখন সে ঘুরে বেড়াত তখন কারও ভয় পাওয়ার কারণ থাকত না। কারণ সে কারও ক্ষতি করত না। ভোজনে ছিল নিরামিষাশী।

Published by
News Desk

বিশাল মন্দিরটা যেন ফাঁকা হয়ে গেল। মন্দিরের চত্বরে যখন বাবিয়া ঘুরে বেড়াত তখন কেউ ভয় পেতেন না। বরং তাকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ পেতেন। মন্দিরের বিগ্রহ দর্শনের পাশাপাশি তাকেও চোখের দেখা দেখে যেতেন ভক্তরা। মনে করতেন ৭৫ বছর বয়স্ক ওই কুমিরের দেখা পাওয়াও সৌভাগ্যের।

সব সময় যে বাবিয়া মন্দির চত্বরেই ঘুরত তাও নয়। মন্দির লাগোয়া একটি বিশাল দিঘির জলেও সময় কাটাত সে। ৭৫ বছরের বাবিয়া ৭০ বছরের ওপর ওই মন্দিরেই কাটিয়ে দিয়েছে।

সেই বাবিয়ার দেহ ভেসে উঠল ওই দিঘিতে। তার দেহ উদ্ধার করে তাকে সম্মান জানানো হয়। কারণ তাকে কেউ সাধারণ কুমির হিসাবে দেখতেন না।

তাকে দেখা হত ঈশ্বরের প্রেরিত দূত হিসাবে। যার দায়িত্ব নাকি ছিল মন্দিরের বিগ্রহকে পাহারা দেওয়া। আর তাই বাবিয়াকে ঘুরতে দেখা যেত মন্দির প্রাঙ্গণে। এটাই সকলের বিশ্বাস।

সেই বাবিয়ার মৃত্যু শোক এখনও অনেকেই কাটিয়ে উঠতে পারেননি। মুখে মুখে ঘোরে যে বাবিয়া আমিষ ছুঁতো না। যদিও কুমির আদ্যোপান্ত একটি মাংসাশী প্রাণি। কিন্তু বাবিয়া নাকি ছিল একদম আলাদা।

সে মন্দিরের প্রসাদেই সন্তুষ্ট থাকত। মন্দিরের ভাত ও গুড়ের নাড়ু খেয়ে সে কাটিয়ে দিত। কেরালার শ্রী অনন্ত পদ্মনাভ স্বামী মন্দির এখন সেই বাবিয়াহীন।

তবে মন্দিরের বয়স্ক সেবায়েতরা মনে করেন বাবিয়া চলে যেতে পারে তবে তার জায়গায় অন্য আর এক কুমির অবশ্যই মন্দিরে এভাবেই হাজির হবে। কারণ এ মন্দিরে কোনও কুমির পাহারায় থাকবেই।

Share
Published by
News Desk