National

এবার বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে বই পৌঁছে দেবেন স্বেচ্ছাসেবকরা

বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ার পর দরজা খুলে সামনে দেখা যেতে পারে এক অচেনা মানুষকে। তাঁর হাতে বই। যা তিনি এগিয়ে দিতে পারেন গৃহস্থের দিকে।

Published by
News Desk

স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া, টিভিতে হাজারো চ্যানেল। এ সবে যেমন মানুষের সময় দেওয়া বেড়েছে তেমনই তাল মিলিয়ে কমেছে বই পড়া। এটা মাথায় রেখে এবার নানা ধরনের বই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে রাজ্যের আড়াই হাজার সাধারণ পাঠাগার বা পাবলিক লাইব্রেরিকে এক সুতোয় বাঁধা হয়েছে।

রাজ্যের ৩১টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা এসব লাইব্রেরিতে রয়েছে নানা বইয়ের বিপুল সম্ভার। যা একসময় মানুষের অন্যতম চাহিদা ছিল। তাঁরা পাঠাগারের সদস্যপদ গ্রহণ করে সেখান থেকে মাসিক একটি অর্থ প্রদানের বিনিময়ে নানা বই বাড়ি নিয়ে গিয়ে পড়ে ফেরত দিতেন। আবার অন্য বই বাড়ি নিয়ে যেতেন।

এবার আর তাঁকে লাইব্রেরি আসতে হবেনা। বরং তাঁর পছন্দের বই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেবে লাইব্রেরি। যা করা হবে সরকারি সাহায্যে।

এজন্য প্রতিটি লাইব্রেরির জন্য ৫ জন করে স্বেচ্ছাসেবক নেওয়া হবে। এঁরা একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন। এজন্য গ্রাহককে বাড়তি অর্থ ব্যয়ও করতে হবেনা। আবার বাড়ি বসেই বইও পেয়ে যাবেন তাঁরা।

এর আগে ওষুধ বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল তামিলনাড়ু সরকার। এবার তারা বাড়ি বাড়ি বই পাঠানোর ব্যবস্থা করল। এজন্য লাইব্রেরিগুলিতেও বাড়তি বই পাঠানো হবে।

নুলাঙ্গম নানবারাগল নামে একটি প্রকল্পের আওতায় এই বাড়ি বাড়ি বই পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। রাজ্যের মানুষের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি এর প্রধান উদ্দেশ্য।

সরকারের মতে, নানা প্রযুক্তিগত জিনিসপত্রে মানুষ এখন এতটাই বিভোর যে সারাদিনে বই পড়ার সময় তাঁরা অনেক কমিয়ে ফেলেছেন। অনেকে তো বই আর পড়েনই না। এটা বদল করা এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করতে এই বাড়িতে কড়া নেড়ে বই পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প কিন্তু অন্য রাজ্যগুলিকেও পথ দেখাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk