National

রাস্তা চিনিয়ে দেওয়া দিয়ে শুরু, পর্যটকের ২৩ লক্ষ টাকা গায়েব করল ঠগ

রাস্তা চিনতে না পারলে তো কাউকে না কাউকে জিজ্ঞেস করতেই হয়। ওই বিদেশি পর্যটক তখন জানতেন না রাস্তা চিনতে গিয়ে খাল কেটে কুমির আনছেন তিনি।

Published by
News Desk

নতুন দেশ। নতুন শহর। অচেনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। হোটেলে বুকিংটা আগেই করা ছিল। কিন্তু শহরে পৌঁছে রাস্তাটা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। যে গাড়িতে চড়েছিলেন সেই গাড়ির চালকও বুঝতে পারছিলেন না।

অগত্যা স্থানীয় এক বাসিন্দাকে হোটেলের নাম করে ওই ৫৬ বছরের জাপানি মহিলা জানতে চান তিনি কীভাবে সেখানে পৌঁছবেন। ওই ব্যক্তি সাগ্রহেই জানায় ঠিকানার খোঁজ। সেইসঙ্গে ওই পর্যটকের সঙ্গে আলাপও করে নেয়।

পরদিন তাজের শহরটা ঘুরিয়ে দেখানোর অফারও দেয়। জাপানি ওই মহিলা না করেননি। যে মানুষটা তাঁকে ঠিকানা চিনতে সাহায্য করল সে যদি শহর ঘুরিয়ে দেখায় ক্ষতি কি! শহরটা তো তিনি ঘুরতেই চান।

পরদিন আগ্রা শহরের নানা দ্রষ্টব্য স্থান ওই জাপানি মহিলা পর্যটককে ঘুরিয়ে দেখায় লাকপা আলি হোসেন নামে বছর ৪৫-এর ওই ব্যক্তি। ক্রমে লাকপার প্রতি একটা বিশ্বাস তৈরি হয়ে যায় ওই মহিলার। আর তারই সুযোগটা নেয় লাকপা।

এভাবে সুন্দর কথা ও আত্মিক ব্যবহারের জালে ফাঁসানোই যে লাকপার কাজ তা ওই মহিলা টেরও পাননি। এভাবে বেশ কিছুদিন আগ্রা শহর ঘুরে দেখার পর ওই মহিলা জাপানে ফিরে জাওয়ার আগে কিছু গয়না কিনতে চান। লাকপাই তাঁকে এই গয়না সম্বন্ধে জানায়।

মহিলার কাছ থেকে সে ২৩ লক্ষ টাকা নিয়েও নেয়। জানায় এত টাকার গয়না তো এভাবে ওই মহিলা নিয়ে যেতে পারবেন না। এজন্য কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র লাগবে। সেসব ব্যবস্থা করে লাকপা তাঁকে জাপানের ঠিকানায় গয়না পাঠিয়ে দেবে।

ততদিনে লাকপার প্রতি গভীর বিশ্বাস তৈরি হয়ে গিয়েছিল ওই মহিলার। তিনি বিশ্বাসে ভর করে জাপানে ফিরে যান। কিন্তু গয়না আর তাঁর কাছে পৌঁছয়নি। পরে তিনি বুঝতে পারেন আসলে লাকপা তাঁকে ঠকিয়েছে।

এবার তাই ফের ভারতে বেড়াতে এসে ওই মহিলা এফআইআর দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লাকপাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk