National

খড় পুড়ছে এক রাজ্যে, বাজি পোড়ানো নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে অন্য রাজ্য

খড় পুড়ছে অন্য রাজ্যে। আর তা নিয়ে কার্যত সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা। এবারও কি তবে বাজি পোড়ানো হবে না? প্রশ্ন তাঁদের।

Published by
News Desk

সবে ধান ঘরে তোলা শেষ হয়েছে। এবার ওই মাটিতেই গমের চাষ করতে সেখানে বীজ বপন করা হবে। শীতকাল মানেই তো গমের চাষ। তবে তার আগে মাটি সাফ করে নিতে হবে।

সেজন্য প্রতিবছর ঠিক এই সময়ই ধান চাষের জেরে তৈরি হওয়া বিপুল পরিমাণ খড় পুড়িয়ে দেন কৃষকরা। একের পর এক ক্ষেতে জ্বলতে থাকে খড়ের ঢিবি। তা থেকে প্রচুর ধোঁয়া তৈরি হয়। যা ক্রমশ বাতাসে মিশে ভেসে যেতে থাকে।

ভাসতে ভাসতে প্রতিবছরই তা পৌঁছে যায় লাগোয়া রাজ্যে। আর সেই ধোঁয়ায় সেখানে রাতারাতি দূষণ মাত্রা চরমে ওঠে। দূষণ ঠেকাতে দিওয়ালীর আগে তাই সেখানে বাজি পোড়ানোর ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

এবারও কি সেটাই হতে চলেছে? দিওয়ালীতে কি একটু বাজিও পোড়ানো যাবে না? এমনই প্রশ্ন দিল্লির বাসিন্দাদের। কারণ বাজির ধোঁয়া দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।

প্রতিবছরই শীতের মুখে বিপুল খড় পোড়ান পঞ্জাব ও হরিয়ানা কৃষকরা। যার ফল ভুগতে হয় দিল্লিকে। দ্রুত বাড়তে থাকে দূষণ মাত্রা।

এবারও খড় পোড়ানো শুরু হয়ে গেছে। আর তার জেরে দিল্লিতে যাতে দূষণ মাত্রা চরমে না পৌঁছয় সেজন্য দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার ১৫ দফা পথে দূষণ রোখার ব্যবস্থা করেছে।

এজন্য বিভিন্ন জায়গায় মেশিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যা দূষণ শুষে নেবে। নষ্ট করবে। এছাড়াও নানা পথ নেওয়া হয়েছে। বাইরের রাজ্য থেকে যেসব গাড়ি ঢুকবে তা জ্বালানি তেল নয়, গ্যাসচালিত হওয়া জরুরি বলেও জানিয়েছে বিচলিত সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk