National

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, আজীবন খাঁচাতেই কাটাতে হবে ৯ লেপার্ডকে

বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। এই প্রবাদ সকলেই মানেন। সরকার তো মানেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রাণিদেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

Published by
News Desk

কখনও কোনও বন্যপ্রাণিকে যদি পাকড়াও করার দরকারও পড়ে তাহলে তাকে ধরেন বনকর্মীরা। খুব অসুবিধা হলে তাদের ধরতে ঘুমপাড়ানি গুলিও চালাতে হয়। তারপর তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। তাদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠাতেও হয়।

সেখানে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে যতদিন রাখা দরকার ততদিন রাখার পর ফের তাদের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। যে জঙ্গল তাদের জীবন।

সেখানেই তাদের শান্তিতে জীবন কাটাতে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তার অন্যথাও হয়। তেমন বেয়াদব প্রাণি হলে তার চালচলন নিরীক্ষণ করে তাদের খাঁচাতেই বন্দি করে রাখা হয়। সেটাই তাদের সাজা।

এমনই সাজা ভোগ করছে ৯টি লেপার্ড। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার নাজিবাবাদ হাইওয়ের ওপর অবস্থিত চিড়িয়াপুর ট্রানজিট অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার। এখানেই ৯টি লেপার্ডকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।

সাধারণত বন দফতর কখনওই প্রাণিদের দীর্ঘদিন খাঁচাবন্দি করে রাখে না। কিন্তু এদের ক্ষেত্রে তারাই এদের কারাদণ্ড দিয়েছে। এদের অপরাধ এরা মানুষকে হত্যা করেছে। বারবার জনবসতিতে হানা দিয়েছে।

তাই তাদের স্বভাবের কথা মাথায় রেখে তাদের ছাড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। কার্যত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেই দণ্ডিত হয়েছে এই ৯ লেপার্ড। ফলে বাকি জীবনটা এদের খাঁচাতেই বন্দি হয়ে কাটাতে হবে।

এদের মধ্যে একটি স্ত্রী লেপার্ড ২০১৫ সালে মানুষকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ৭ বছরের কারাবাস কাটিয়ে ফেলেছে। এখনও যতদিন বাঁচবে কারাগারের আড়ালেই কাটাতে হবে তাকে।

এদের অবশ্য খাওয়াদাওয়ায় কোনও অযত্ন হয়না। সপ্তাহে ৬ দিন মুরগি, মটন বেশ পেট ভরেই খায়। কেবল উপোসে থাকতে হয় প্রতি মঙ্গলবার। অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk