National

সমাজের পুরনো ধারনায় ছিদ্র করে পাংচার সারিয়ে ফেলছে মেয়েরা

গ্যারাজ নামে শব্দটার সঙ্গে পুরুষ প্রাধান্যের একটা যোগ আছে। এখানে যে মেয়েরাও কাজ করতে পারে তা অনেকেই ভাবতে পারেননা। সেই ধারনা এবার ভেঙে দিলেন ওঁরা কজন।

Published by
News Desk

সমাজে যে কাজটা কাজই, তার পুরুষ বা মহিলা হয়না, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়াটা মেয়েরা আগেই শুরু করেছিল। এবার সেই বিপ্লবে আরও একধাপ মহিলাদের এগিয়ে দিল মান্তুরা।

একটি গ্যারাজে কাজ করেন মান্তু। সেখানে তিনি অনায়াসে সারিয়ে ফেলেন মোটরবাইকের শক অ্যাবজর্ভার, ক্লাচ প্লেটের সমস্যা। মান্তুর এখন একটাই লক্ষ্য নিজের একটা গ্যারাজ খোলা। সেজন্য উদ্যোগও শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

মান্তুর মত সতীবরধা নামে এক আদিবাসী তরুণীও এভাবেই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি, নিজের পরিবারকেও সুস্থভাবে বাঁচার রাস্তা দেখিয়েছেন। সতীবরধা বাড়ির সামনেই একটি পাংচার সারানোর জায়গা করেছেন। সেখানে টায়ার পাংচার হলে সারিয়ে দেন তিনি। সেইসঙ্গে একটি বিউটি পার্লারও চালাচ্ছেন এই তরুণী। হাজার পাঁচেক টাকা এখন রোজগারও হয়ে যাচ্ছে।

সবে শুরু করা এই ব্যবসা তিনি আরও অনেক বড় করতে চান। তবে তাঁর এখনকার রোজগারেই পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে। তাঁর বাবাকে আর অন্য রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যেতে হবেনা এটা ভেবে খুশি এই আদিবাসী তরুণী।

শিখা বা রাধাও এমন ২ তরুণী যাঁরা নিজেদের মোটরসাইকেল সারানোর গ্যারাজ খুলেছেন। শিখা তাঁর বোনেদের সাহায্য নিয়ে বাইক সারান। দিনরাত পরিশ্রম করে নিজেদের গ্যারাজকে আরও বড় করার স্বপ্ন দেখেন ২ কন্যাই।

মধ্যপ্রদেশের বলরামপুরের মান্তু বা বাগদার রাধা যাদব বা জামদাদের শিখারা এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাওয়া তরুণীদের পথ দেখাচ্ছেন। গ্যারাজে যে মেয়েরাও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করতে পারে, রোজগার করতে পারে, সমাজের পুরনো ধারনা ভেঙে সেই পথ এগিয়ে চলেছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk