প্রত্নতাত্ত্বিক খনন, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
কাছেপিঠের মন্দিরগুলির ওপর কাজ করছিলেন তাঁরা। তখনই নজরে পড়ে বিষয়টি। কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপকেরা ও তাঁদের ছাত্ররা লক্ষ্য করেন মন্দিরের গায়ে এমন কিছু পাথর খণ্ড লাগানো রয়েছে যার ওপর রয়েছে নানা ছবি। কোনওটায় সূর্য, কোনওটায় চাঁদ, কোনওটায় বৈষ্ণব প্রতীক তো কোনওটায় পদ্ম।
এদিকে শুধু এগুলি বলেই নয়, ছবিগুলির তলায় রয়েছে কিছু লেখাও। তবে লেখাগুলি এমনভাবে ক্ষয়ে ক্ষয়ে ঝাপসা হয়ে গেছে যে তা পড়া কার্যত দুঃসাধ্য।
তবে তার ঐতিহাসিক মূল্য যে রয়েছে তা দেখেই অনুমান করতে পারেন তাঁরা। যদিও মন্দিরের গায়ে সেই পাথরগুলি হেলায় লাগানো ছিল। যাঁরা সেগুলি মন্দিরের গায়ে লাগিয়ে দেন তাঁরা তার মূল্য বুঝে উঠতে পারেননি।
তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের মান্নার তিরুমালাই কলেজের অধ্যাপক ও ছাত্ররা গবেষণা করতে গিয়ে জানতে পারেন যে ওই খোদাই করা পাথর খণ্ডগুলি আসলে পাণ্ডিয়া মীনাক্ষী সুন্দরেশ্বর মন্দিরে লাগানো ছিল।
মন্দিরটি পরে ভগ্ন দশায় চলে গেলে এসব পাথর খুলে নিয়ে স্থানীয়রা বিনয়গড় মন্দিরে লাগিয়ে দেন। তাঁরা বুঝতে পারেননি ওই পাথরগুলির গুরুত্ব।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন ওই পাথরের খণ্ডগুলি ৪০০ বছর পুরনো। নায়েক রাজবংশের সময় এই পাথরগুলির ওপর খোদাই কাজ করা হয়েছিল। এমন আরও পাথর আশপাশে রয়েছে কিনা তা জানতে এখনও মাদুরাইয়ের থেনি এলাকায় খোঁজ শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা