National

সাইকেল বেচে, হোটেলে কাজ করেও চারমূর্তির তাজমহল ছুঁয়ে দেখা হল না

সাইকেল বেচে দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতি হয় যে হোটেলেও কাজ করতে হয় তাদের। কিন্তু এত কাঠখড় পুড়িয়েও তাজমহল সেই অধরাই রয়ে গেল তাদের কাছে।

Published by
News Desk

আইডিয়াটা প্রথমে দিয়েছিল এক বন্ধু দীপক। শাওনের আইডিয়াটা মনে ধরেছিল। এটাই তার একমাত্র পথ বলে মনে হয়েছিল। তাজমহল নিয়ে এত কিছু শুনেছে। এত ছবি দেখেছে। কিন্তু সেই তাজমহল চোখের দেখা দেখা হয়নি। ৪ কিশোর স্থির করেছিল তারা তাজমহল দেখতে যাবে।

কিন্তু আগ্রা যাওয়া, খাওয়াদাওয়া, তাজমহলের টিকিট, সব মিলিয়ে খরচও রয়েছে। তাই দীপকের পরামর্শে শাওন তার সাইকেলটা বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে বিক্রি করে দেয়। বিক্রি করে ৪০০ টাকাও পায়। সেই টাকা নিয়ে শাওন, দীপক, অভয় ও কিষাণ মিলে বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে রওনা দেয় কানপুর থেকে আগ্রা।

আগ্রা স্টেশন থেকে তারা অটো ধরে তাজমহলে পৌঁছলেনও তখন তাদের পকেটে যে টাকা পড়েছিল তাতে তাদের তাজমহলে প্রবেশের টিকিটের দাম উঠছিল না। অগত্যা তারা স্টেশনে ফিরে সেখানেই একটি হোটেলে কাজ করতে শুরু করে।

স্থির করেছিল হোটেলে কাজ করে যে টাকা পাবে তা দিয়ে তারা তাজমহল দেখে নেবে। কিন্তু থাকা খাওয়ার খরচ করে সেই টাকা হোটেলে কাজ করেও ওঠেনি। অগত্যা তাজমহল দেখার ইচ্ছাকে মনের কোণায় স্থান দিয়ে তারা ফের কানপুরে ফেরার ট্রেনে চেপে বসে।

এই ৪ কিশোর বাড়ি থেকে উধাও হওয়ার পর তাদের বাড়ির লোকজন পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এমনকি পুলিশ কিশোরদের খুঁজতে যথেষ্ট উদ্যোগী নয় বলে দাবি করে পথ অবরোধও করেন। অবশেষে পুলিশ বুঝিয়ে অবরোধ তোলে।

এদিকে ৪ কিশোর কানপুরে ফিরলেও বাড়িতে বকুনি খাওয়ার ভয়ে বাড়ি যাচ্ছিল না। কিন্তু পুলিশের চোখ এড়াতে পারেনি। অবশেষে পুলিশ তাদের বাড়ি ছেড়ে আসে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk