চিঠি, প্রতীকী ছবি
এক ১৭ বছরের কিশোরী খুন হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কয়েকজনকে আটকও করে। কিন্তু কে খুনি তা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছিল না। না পাওয়া গেলেও পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যায় যতক্ষণ না তারা খুনি পর্যন্ত পৌঁছতে পারছে বা খুনি কে জানতে পারছে।
এক্ষেত্রে কিন্তু এক পুলিশ আধিকারিক তদন্তের ধারই ধারলেন না। তিনি সোজা হাজির হলেন এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর কাছে। হাতে ছিল কাগজে লেখা কয়েকটা নাম।
সেই কাগজ ভাঁজ করে ওই পুলিশকর্মী বাবাজির হাতে তুলে দেন। তারপর তাঁর কাছে করজোড়ে অনুরোধ করেন বাবাজি যেন এই নামগুলোর মধ্যে কে খুনি তা বলে দেন।
বাবাজি এরপর বলতে শুরু করেন। তিনি ভাঁজ করা কাগজটি হাতে নিয়ে জানান ওই কাগজে যে নামগুলি লেখা আছে খুনি তাদের মধ্যে কেউই নয়। ওই পুলিশ আধিকারিক অবাক হয়ে যান।
বাবাজি বলেন, তিনি বরং ৩টি নাম বলছেন। তাদের মধ্যে ১ জন খুনি। ওই ৩টি নাম তিনি বলেনও। এটাও জানান যে এদের মধ্যে থেকেই পুলিশ একজনকে পাকড়াও করেছে। সেইসঙ্গে বাবাজি ইঙ্গিতপূর্ণভাবে জানান, ওই পুলিশকর্মী নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে ওই ৩ জনের মধ্যে কে খুনি!
পুরো বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ বিভাগের তরফে ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা