National

সবুজ প্রান্তর ভেবে ভুল করলে ডুবে যেতে পারেন, গাছে হারাল বিখ্যাত নদী

সবুজ প্রান্তর ভেবে কেউ যদি ভাবেন একটু পায়চারি করে নেওয়া যাক, তাহলে কিন্তু বড় ভুল করবেন। কারণ ডুবেও যেতে পারেন ওই মাঠে। ছোটদের সামলে রাখা বড় দায়িত্ব।

Published by
News Desk

মাঠ ময়দান দেখলে তো ছোটরা আনন্দ পায়। তারা যদি এমন সবুজে মোড়া খোলা প্রান্তর পায় তাহলে তাদের ধরে রাখা মুশকিল। এমনকি বড়রাও সবুজের বুকে পায়চারি করার লোভ সামলাতে নাও পারেন।

কিন্তু এই সবুজ প্রান্তর দেখে ভুল করলে বিপদ। সবুজে খেলতে গেলে বা হাঁটতে গেলে ডুবে যেতে পারেন গভীর জলে। কারণটা পরিস্কার।

ওটা দেখতে সবুজে মড়া মাঠ হলেও আদপে ওটা একটা নদী। তাও যে সে নদী নয়। ভারতের অন্যতম প্রধান নদী। এমনই বেহাল দশা হয়েছে লখনউ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর। যা পাশ দিয়ে বয়ে না গেলে নবাবের শহরটাই তৈরি হতনা।

গোমতী দেশের অন্যতম প্রধান নদীর তালিকায় পড়ে ঠিকই, কিন্তু সে নদীর দেখভাল কার্যত শিকেয় উঠেছে। নদীর একটা অংশ এখন সবুজে ভরে উঠেছে।

কচুরিপানা সহ নানা প্রকারের জলজ উদ্ভিদে এমনভাবে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার জল ঢাকা পড়ে গেছে যে তা যে আদৌ একটা নদী তা না বলে দিলে বোঝা যাবে না। মনে হবে একটা বিশাল প্রান্তর।

এভাবে গোমতীর জলের উপরিভাগ সবুজে ভরে যাওয়ার কারণ হিসাবে চূড়ান্ত অবহেলা, ১৫টি পাইপ দিয়ে লখনউ শহরের নর্দমার জল বয়ে এসে নদীতে পড়ার মত বিষয়কে সামনে আনছেন বিশেষজ্ঞেরা।

এমনকি বিপুল পরিমাণ জলজ উদ্ভিদ কিছুটা সাফ করে তুলে নিলে নদীর জল দেখা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তা ক্ষণিকের জন্য। তারপরই ফের কোথা থেকে সবুজ এসে ভরে দিচ্ছে।

এই সমস্যা সমাধানে এখন গোমতী রিভারফ্রন্ট প্রকল্পের কাজ তরান্বিত করা দরকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এদিকে এভাবে জলজ উদ্ভিদে ভরে যাওয়ার ফলে গোমতীর স্বাভাবিক প্রবাহও বিনষ্ট হচ্ছে। যা নদীটির স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভয়ংকর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk