National

অন্য পথ নেই, দড়িতে ঝুলে নদী পার করে প্রতিদিন স্কুল করে পড়ুয়ারা

প্রতিটি মুহুর্তে থাকে জীবনের ঝুঁকি। যে কোনও মুহুর্তে ফস্কাতে পারে হাত। আর তাহলেই সোজা নিচে গভীর জলের নদীতে। এভাবেই প্রতিদিন স্কুলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।

Published by
News Desk

নদীর ওপর একটা ব্রিজ হবে বলে অনেকেই শুনেছেন। তবে বছরের পর বছর কেটে গেলেও সে ব্রিজ আর তৈরি হয়নি। এদিকে অনেক ঘুরপথে একটা রাস্তা আছে বটে। তবে তা বর্ষায় এতটাই বেহাল যে সেখান দিয়ে যাতায়াত করা যায়না।

স্কুলে যেতে গেলে সে রাস্তা ধরার চেষ্টাও বৃথা। কারণ তাতে অনেক বেশি পথ ঘুরতে হবে। যা ছোট ছোট পড়ুয়াদের জন্য খুবই ক্লান্তিকর।

অগত্যা সঠিক সময়ে দ্রুত স্কুলে পৌঁছে যাওয়ার একটাই রাস্তা খোলা। নদী পার করা। আর তা সম্ভব কেবল এক ভাবেই। নদীর ২ প্রান্তে ২টি গাছে বাঁধা আছে একটি দড়ি। সেই দড়ি বেয়েই কার্যত সার্কাসের কসরতের মুন্সিয়ানা নিয়ে নদী পারাপার করছে পড়ুয়ারা।

তাও আবার এক আধদিন নয়। প্রতিদিন তাদের স্কুলে যাওয়া ও স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার এই একটাই পথ। দড়িতে ঝুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার।

মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার গোচপুরা গ্রামের পড়ুয়াদের স্কুল করার এটাই প্রতিদিনের ছবি। পরিবারের লোকজন সকালে বাড়ির ছেলেমেয়েরা স্কুলে গেলে ঈশ্বরকে স্মরণ করেন। যাতে এই ঝুঁকির নদী পারে তাদের কোনও ক্ষতি না হয়।

পড়ুয়াদের পারাপারের জন্য একটা ফেরির পর্যন্ত ব্যবস্থা করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন। তবে এই প্রতিদিনের দড়িতে ঝুলে যাতায়াতের কথা সোশ্যাল সাইট থেকে জেনে স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk