মুরগি, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
ঘটনাটি ঘটে কিছুদিন আগে, গত ৭ জুলাই। ওইদিন বাড়ির পিছন দিকে ছিল তাঁদের বাড়ির পোষ্য মোরগ লালজি। পরিবারের সকলে বাড়ির সামনের দিকে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ তাঁরা বাড়ির পিছন দিক থেকে আওয়াজ পান।
সকলে হাজির হয়ে দেখেন একটি পাড়ার কুকুর ঢুকে পড়েছিল বাড়ির পিছনের ফাঁকা অংশে। সেখানে থাকা বাড়ির পোষ্য মেষ শাবকটির ওপর হামলা করে কুকুরটি। বাড়ির আর এক পোষ্য সমস্যায় দেখে আর স্থির থাকতে পারেনি লালজি।
কুকুরের চেয়ে অনেক ছোট চেহারার হয়েও সে ঝাঁপিয়ে পড়ে মেষ শাবককে রক্ষা করতে। কুকুরের সঙ্গে লড়াই বেধে যায় তার। তাতেই সে আহত হয়।
পরদিন লালজি মারা যায়। শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে পরিবার। লালজি যে কবে তাদের পরিবারের সদস্য হয়ে গিয়েছিল তা তাঁরাও জানতেন না। এভাবে পরিবারের পোষ্যকে রক্ষা করতে সে প্রাণ দিল।
এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলেননা কেউ। পরিবার স্থির করে যেভাবে পরিবারের কারও মৃত্যু হলে অশৌচ পালন করা হয়, ১৩ দিনে শ্রাদ্ধ হয়, লালজির ক্ষেত্রেও তাই হবে।
বাড়ির কাছে মাটি খুঁড়ে কবর দেওয়া হয় মোরগটিকে। তারপর সব প্রথা আচার মেনে ১৩ দিনের দিন শ্রাদ্ধও হয়। যে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত হন ৫০০ জন সমব্যথী অতিথিও।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে। এই ঘটনার পর ওই পরিবার নয়, আশপাশের সকলেও মোরগটির মৃত্যু মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা