National

হাল চষছেন মহিলারা, ভগবানকে চিঠি লেখায় ব্যস্ত পুরুষরা

গোটা চত্বর জুড়ে ছবিটা একই। চড়া রোদ মাথায় করে ক্ষেতে হাল চষছেন বাড়ির মহিলারা। আর ভগবানকে একের পর এক চিঠি লিখতে ব্যস্ত রয়েছেন পুরুষরা।

Published by
News Desk

এভাবেই কাটছে এখন তাঁদের দিন রাত। মহিলারা সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষেতে হাজির হয়ে হাল চষছেন। মাটিতে হাল চষে মাটিকে চাষের জন্য উপযুক্ত করে তুলছেন।

অনেক সময় আবার মহিলারা একত্রিত হয়ে মন্দিরে যাচ্ছেন। সেখানে পুজো দিচ্ছেন। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছেন। ভাউরি প্রথাও পালন করা চলছে।

এই প্রথা হল বাড়ির বাসনপত্র নিয়ে মন্দিরে হাজির হওয়া। তারপর সেখানে পুজো দেওয়া। বাড়ির মহিলারা বাসনপত্র নিয়ে মন্দিরে গিয়ে এই প্রথাও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন।

মহিলারা যখন হলকর্ষণ বা পূজাঅর্চনায় ব্যস্ত তখন পুরুষরা ব্যস্ত ভগবান ইন্দ্রকে চিঠি লিখতে। একের পর এক চিঠি যাচ্ছে ইন্দ্রদেবকে উদ্দেশ্য করে। প্রার্থনা একটাই, যেন দ্রুত বৃষ্টি নামে ওই অঞ্চলে। না হলে এলাকার এই খরা পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠবে।

স্থানীয়দের মতে, এটা শুনে আধুনিক যুগে সকলের মনে হতে পারে যে এসবের কোনও মানে হয়না। এ সব কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তাঁরা আজও বিশ্বাস করেন মহিলারা যদি মাঠে বলদ দিয়ে হাল চাষ করেন তাহলে বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্র তুষ্ট হন। তিনি এলাকায় প্রচুর বৃষ্টি দেন। ফলে চাষাবাদ খুব ভাল হয়। তাই সেই চেষ্টায় ত্রুটি রাখছেন না স্থানীয় মহিলারা। এই প্রথা উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত অঞ্চলের।

তবে এখনও সেখানে বৃষ্টির দেখা নেই। প্রসঙ্গত ভারতে এবার কোথাও অতিবৃষ্টি তো কোথাও বৃষ্টি এতটাই কম যে মানুষ বর্ষার জন্য হাপিত্যেশ করে অপেক্ষা করছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk