National

স্কুলের বাথরুমে সন্তানের জন্ম দিল দশম শ্রেণির ছাত্রী

Published by
News Desk

দিল্লির মুখার্জীনগরের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী শিক্ষিকাকে জানায় তার পেটে ব্যথা করছে। বাথরুমে যেতে চায়। শিক্ষিকা অনুমতি দিলে সে বাথরুমে চলে যায়। সেখানেই জন্ম হয় এক কন্যাসন্তানের। এদিকে খবর চাপা থাকেনা। শিক্ষিকারা ছুটে আসেন বাথরুমে। ওই ছাত্রী ও সন্তানকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা জানান শিশুটি মাত্র ২৬ সপ্তাহের। বেবি প্রিম্যাচিওর। চিকিৎসা শুরু হয় মা ও মেয়ের।

সন্তান প্রসব করতে গিয়ে ১৫ বছরের মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে জ্ঞান ফিরলে সে পুলিশকে জানায়, তারই প্রতিবেশি পেশায় অটোচালক বছর ৫১-র আবদুল গফফর তাকে বাড়িতে ডেকে ৪-৫ বার ধর্ষণ করে। প্রতিবারই ধর্ষণের পর মেয়েটির হাতে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা যখন যেমন গুঁজে দেয়। এদিকে মেয়েটি জানতেও পারেনি তার পেটে বেড়ে উঠছে এক শিশু। সম্প্রতি সে বিষয়টা আন্দাজ করতে পেরে ওই প্র‌ৌঢ়কে জানায়। তখন সে মেয়েটিকে গর্ভপাতের ওষুধ দেয়। চিকিৎসকদের অনুমান ওই গর্ভপাতের ওষুধ খেয়েই সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয় শিশুটি।

পুলিশ বিহারের বাসিন্দা আবদুল গফফরকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের কাছে নিজের দোষ কবুলও করেছে সে। এদিকে ছাত্রী ও তার সন্তান এখন ভালই আছে। প্রশ্ন একটাই। কেউ না বুঝুক, ওই ছাত্রীর বাবা-মাও জানতে পারলেন না মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা? বিষয়টা ভাবাচ্ছে।

Share
Published by
News Desk