National

রাতারাতি ভ্যানিস ১৪০ বছরের স্কুল, শিক্ষক ছাত্ররা এসে দেখলেন স্কুল আর নেই

রাতারাতি হারিয়ে গেল একটা স্কুল। তাও আবার ১৪০ বছরের ইতিহাস জড়িয়ে আছে স্কুলটির সঙ্গে। শিক্ষক ছাত্ররা এসে দেখলেন তাঁদের স্কুল আর নেই।

Published by
News Desk

গরমের ছুটি যেদিন পড়ে সেদিনও পড়ুয়ারা এসেছিল ক্লাস করতে। শিক্ষকরা তাদের পড়িয়েছিলেন। গরমের ছুটির কাজ দিয়েছিলেন।

এরপর গরমের ছুটি কাটিয়ে ছাত্র থেকে শিক্ষক সকলেই বৃহস্পতিবার স্কুলে ফেরেন। কিন্তু স্কুলের সামনে এসে অবাক হয়ে যান তাঁরা। তাঁদের স্কুলটি আর নেই। সেই জায়গায় অন্য একটি স্কুল দাঁড়িয়ে আছে।

যার সঙ্গে তাঁদের স্কুলটার খুব একটা মিল নেই। এমনকি স্কুলের নাম যেখানে লেখা থাকে সেখানেও তাঁদের স্কুলের নাম নেই। আছে অন্য একটি স্কুলের নাম।

প্রাথমিকভাবে ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন বলে মনে হলেও পরক্ষণেই ভুল ভাঙে। শিক্ষক ও ছাত্ররা এরপর তাঁদের স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের গেটেই দারোয়ান আটকে দেন। এও জানিয়ে দেওয়া হয় পাশের একটি মাঠে টিনের চাল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁদের স্কুল করতে।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্র থেকে শিক্ষক সকলেই স্কুলের সামনে খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস শুরু করে দেন। ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয় স্কুল শিক্ষা দফতরেও।

সেখান থেকে বিকেলে আধিকারিকরা এসে সবকিছু খতিয়ে দেখে যান। লখনউয়ের গোলাগঞ্জ এলাকার সেন্টেনিয়াল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১৪০ বছরের পুরনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুলটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এক ডাকে সকলে চেনেন স্কুলটিকে।

সেই ১৪০ বছরের পুরনো স্কুল রাতারাতি কীভাবে বেহাত হয়ে যায় তা খতিয়ে দেখছে শিক্ষা দফতর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুলটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত। আর সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল এভাবে বেসরকারি হাতে যেতেই পারেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share