রক্তচাপ মাপার যন্ত্র স্ফিগমোম্যানোমিটার, প্রতীকী ছবি
তাঁর শরীরটা ভাল ছিলনা। তিনি চাইছিলেন নিজের শহরে যেন তাঁকে বদলি করা হয়। তাহলে তিনি পরিবারের সঙ্গে থেকে নিজের চিকিৎসাও করাতে পারবেন আর নিজের চিকিৎসকের দায়িত্বটাও পালন করতে পারবেন।
পেশায় চিকিৎসক দীপেন্দ্র সিং বছর ২ আগে থেকেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। লিভারে সংক্রমণ তাঁকে একটানা ভোগাচ্ছিল। তিনি তাই ২ বছর আগেই নিজের বাড়ির শহর প্রয়াগরাজে বদলি চেয়েছিলেন।
কিন্তু অনেক তদ্বির করেও বদলির অর্ডার আসছিলনা। ফলে চিত্রকূটেই তাঁকে তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছিল। গত ১৭ জুন তিনি সেই লিভারের অসুখেই মারা যান।
পরিবার চিত্রকূট থেকে দেহ নিয়ে সৎকার করে। তারপর প্রথা মেনে ১৩ তম দিনে হয় শ্রাদ্ধ। ৩০ জুন শ্রাদ্ধ চলাকালীন মৃত দীপেন্দ্র সিংয়ের হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ আসে।
পরিবারের লোকজন শ্রাদ্ধের ব্যস্ততার মধ্যেই সেই হোয়াটসঅ্যাপ খোলেন। তারপর মেসেজ দেখে অবাক হয়ে যান। দীপেন্দ্রকে উত্তরপ্রদেশ স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে জানানো হয়েছে যে তাঁর আবেদন মেনে তাঁর বদলি প্রয়াগরাজেই করে দেওয়া হয়েছে।
গত ২ বছর ধরে যে মানুষটা প্রয়াগরাজে বদলির আশায় দিন গুনলেন, তাঁর বদলির আবেদন গ্রাহ্য হল তাঁর মৃত্যুর ১৩ দিন পর। তাও আবার এল তাঁর শ্রাদ্ধের দিনেই।
দীপেন্দ্র সিংয়ের স্ত্রীও একজন চিকিৎসক। তিনি জানান, দীপেন্দ্র নিজের শহরে নিজের পরিবারের সঙ্গে থেকে নিজের চিকিৎসা করাতে মুখিয়ে ছিলেন। বদলিও হল। তবে তা আর তিনি দেখে যেতে পারলেননা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা