প্রতীকী ছবি
গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় পেট্রলপাম্প থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। বয়স হয়েছে। তাই ফিরেই স্ত্রী ও নাতির সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন।
তাঁর ছেলে পেট্রলপাম্প থেকে বাড়ি ফেরেন রাত সাড়ে ১০টায়। তারপর তিনিও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে খেয়ে শুতে চলে যান। এরপর কি হয়েছে তা ওই বাড়ির এই ৫ সদস্যের কারও জানা নেই।
সকালে ঘুম ভাঙার পর তাঁরা দেখেন আলমারি খোলা। সেখান থেকে নগদ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা, ১৫ লক্ষ টাকার গয়না উধাও। উধাও লাইসেন্স থাকা রিভলভার এবং ৩০টি কার্তুজ। তবে চোর কোনও কারণে তাঁর ডবল ব্যারেল রাইফেলটা রেখে দিয়ে যায়।
পেট্রলপাম্পের মালিক সঞ্জীব কুমার জানাচ্ছেন, চোর যে রাতে বাড়িতে ঢুকল, আলমারি ভাঙল, তারপর সব চুরি করে নিয়ে গেল, এসবের কিছুই তাঁর জানা নেই। এমনকি বাড়ির কেউ একটা আওয়াজ পর্যন্ত পাননি।
এটা একটু অস্বাভাবিক লাগছে সঞ্জীব কুমারের। তিনি তাঁর স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ কেউ কিছু না জানার পিছনে চোরের এক কারসাজি তিনি দেখছেন। তিনি মনে করছেন চোর তাঁদের কোনও স্প্রে দিয়ে অচেতন মত করে থাকতে পারে।
তবে গোটা পরিবার এবং পুলিশ বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষার পর একটা বিষয়ে হতবাক। চোরের ছবি সেখানে ধরা পড়েছে ঠিকই, তবে চোর বাড়িতে ঢোকে মহিলাদের রাতের পোশাক পরে।
কেন যে একজন চোর মহিলাদের রাতের পোশাক গায়ে চড়িয়ে মহিলা সেজে গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকল সেটা এখনও অজানা। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইতে। মহিলাদের রাত পোশাক পরা চোরের এখনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা