খানাখন্দে ভরা জাতীয় সড়ক, ছবি - আইএএনএস
দেশের জাতীয় সড়ক বলে কথা! ২২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের ২০ কিলোমিটার রাস্তা দেখে কিন্তু বোঝার উপায় নেই যে তা একটি জাতীয় সড়কের মর্যাদা ধরে।
রাস্তা ধরে এগোলে শুধুই একের পর এক পুকুর তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন আকৃতির গর্তে জমে আছে জল। যা দেখে কার্যতই পুকুর বলে ভ্রম হতে পারে।
সেখান দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে কার্যত প্রাণ হাতে করে। যে কোনও সময় উল্টে যেতে পারে। বড় বড় মালবোঝাই ট্রাক দেখে অনেক সময় মনে হয় এই উল্টে গেল বুঝি! নৌকা যেমন নদীর ঢেউতে দুলতে থাকে, এই জলভরা গর্তের উপর দিয়ে যেতে গিয়ে এভাবেই দোলে গাড়ি।
বিহারের মধুবনী জেলার এই বেহাল রাস্তা নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের শেষ নেই। দিনের পর দিন ধরে একই অবস্থায় পড়ে আছে। অথচ কোনও প্রতিকার নেই।
স্থানীয়রা এটাও জানাচ্ছেন যে এই রাস্তা ৯০-এর দশকে বেশ ভাল অবস্থায় ছিল। ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক এই রাস্তাটিকে জাতীয় সড়কের মর্যাদা দেয়। তারপর এর দেখভালের দায়িত্ব ছিল বিহার সরকারের ওপর।
কিন্তু সেই যে তখন থেকে রাস্তার হাল খারাপ হতে শুরু করে, এখনও সেই একই অবস্থা। বছর ঘুরে যায়, গর্ত বড় হয়, কিন্তু সুরাহা হয়না।
স্থানীয়দের ক্ষোভ এই বেহাল রাস্তা দিয়েই সাংসদ, বিধায়ক, উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যাতায়াত করছেন। সব দেখছেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা হচ্ছেনা।
তার ওপর সমস্যা আরও বাড়ছে এই এলাকাটি নেপাল সীমান্তের কাছে হওয়ায়। এখান দিয়ে নিত্যদিন একের পর এক ভারী ট্রাক যাতায়াত করছে। যা রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ করে দিচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা