শাবক সহ গাধা, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে কর্মরত ছিলেন তিনি। বয়স ৪২ বছর। কিন্তু সে চাকরি ছাড়ার সময় একবারের জন্য ভেবেও দেখলেন না তিনি। এক কথায় ছেড়ে দিলেন মোটা মাইনের চাকরি।
নিজের চেনা কর্ম পরিসর থেকেও বেরিয়ে এলেন রাতারাতি। আর এসবই তিনি করলেন ঠান্ডা মাথায়। অফিসে কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা ছাড়াই তিনি চাকরি ছেড়ে দিলেন কেবল গাধার দুধের জন্য।
শ্রীনিবাস নামে কর্ণাটকের দক্ষিণা জেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি রাস্তায় বিভিন্ন সময়ে অবহেলায় গাধাদের ঘুরতে দেখেন। গাধাদের কেউ গুরুত্বই দেয়না। অথচ সেই গাধার দুধ অত্যন্ত উপকারি। যার ওষধি গুণও রয়েছে।
তাই শ্রীনিবাস স্থির করেন এই আপাত অবহেলিত প্রাণিদের একটি খামার করে সেখানে গাধাদের পুষবেন এবং গাধার দুধ বিক্রি করবেন।
শ্রীনিবাসের একটি খামার রয়েছে। যেখানে ছাগলের প্রজনন করা হয়। এছাড়া খরগোশ প্রতিপালনও হয়। চাকরি ছেড়ে সেখানেই একটি আলাদা জায়গা নিয়ে গাধা প্রতিপালন শুরু করেছেন শ্রীনিবাস।
গাধার দুধ নেহাত কম দামে বিক্রি করছেন না তিনি। ৩০ মিলিলিটার গাধার দুধের দাম ১৫০ টাকা। যা প্যাকেটে বিভিন্ন শপিং মলে বিক্রি হবে। আপাতত ২০টি গাধা নিয়ে এই নতুন ব্যবসায় পা রেখেছেন শ্রীনিবাস।
ভারতে গাধার খামার এই প্রথম নয়। তবে এটি দ্বিতীয়। প্রথমে একটি খামার শুরু হয়েছিল কেরালায়। তারপর শ্রীনিবাস চাকরি ছেড়ে সেই পথে হাঁটলেন।