National

মানুষের চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান এইসব হাতি

হাতি বুদ্ধিমান প্রাণি একথা অনেক আগে থেকেই জানা। কিন্তু তারা যে কিছু ক্ষেত্রে মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান তার হাতে গরম প্রমাণ দিল এখানকার হাতিরাই।

Published by
News Desk

হাতির বুদ্ধি নিয়ে নানা গল্প রচনা হয়েছে। সিনেমায় তা প্রতিফলিত হয়েছে। বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া নানা ঘটনা হাতির বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করে।

তবে যতই বুদ্ধিমান হোক তারা মানুষের মত বুদ্ধিমান নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি উদাহরণ ভারতের এক প্রান্তের হাতিদের মানুষের চেয়েও বেশি বুদ্ধি ধরার ক্ষমতার প্রমাণ দিল।

উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার করবেট টাইগার রিজার্ভ যেমন বাঘদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়, তেমনই হাতিদেরও। ৫২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে থাকা এই অতিবিশাল অভয়ারণ্যের লাগোয়া অনেক গ্রাম রয়েছে।

এই সব গ্রামে মাঝেমধ্যেই অভয়ারণ্যে থাকা হাতির পাল হানা দিত। নষ্ট করত জমির ফসল, আখের খেত। হাতিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে অভয়ারণ্য ও গ্রামগুলির মাঝে ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বৈদ্যুতিন বেড়া দেয় বন দফতর।

যাতে ওই বিদ্যুৎবাহী বেড়ায় স্পর্শ খেয়ে হাতিরা আর গ্রামে ঢুকতে সাহস না পায়। বেশ কিছুদিন ধরে হাতির হানা এই বেড়ার কৃপায় থমকেও গিয়েছিল। কিন্তু হাতিরাও কম যায়না। তারা এবার একটা বুদ্ধি বার করেছে।

ওই সব গ্রামের মানুষজন বন দফতরকে জানিয়েছেন, হাতিরা ওই ইলেকট্রিক ফেন্সিং নষ্ট করতে গাছের ডালের আশ্রয় নিয়েছে। হাতিরা সরাসরি ছুঁলে বিদ্যুতের ছোঁয়া লাগবে। তাই তারা আশপাশের গাছের ডাল ভেঙে ওই তারের বেড়া ওই ডাল দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে।

কাঠের ডাল বিদ্যুতের কুপরিবাহী। ফলে হাতিদের সমস্যাও হচ্ছেনা। গাছের মোটা ডাল ছুঁড়ে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে বেড়া। এখন সেখান দিয়েই নিশ্চিন্তে ঢুকে পড়তে শুরু করেছে গ্রামে।

শুরু করেছে তছনছ। বন দফতর এখন পুরো এলাকা জুড়ে মোটা দেওয়াল গাঁথার পরিকল্পনা করেছে এসব বুদ্ধিমান হাতিদের হাত থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk