National

জ্যৈষ্ঠের প্রতি মঙ্গলবার হয় পুজো, ভক্তদের দেওয়া হয় চাউমিন, বার্গার

গত ২ বছরে এ উৎসব হতে পারেনি। তবে এবার জ্যৈষ্ঠের প্রতি মঙ্গলবার সাড়ম্বরেই পালিত হতে চলেছে এই পূজাপার্বণ। যেখানে ভক্তদের বিতরণ করা হবে চাউমিন, বার্গারও।

Published by
News Desk

গত ২টো বছর অনেক প্রচলিত প্রথার পথেই কাঁটা হয়েছে। স্তব্ধ হয়েছে নানা উৎসব। তবে এবার সেই সাময়িক ধাক্কা সামলে ফের মানুষ ফিরেছেন ছন্দে।

প্রতি জ্যৈষ্ঠ মাসে ‘বড় মঙ্গল’ উৎসব নিয়ে ভক্তদের মধ্যে যেমন উন্মাদনার শেষ থাকেনা। লখনউ শহরে এই উৎসবের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন মানুষজন। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রতি মঙ্গলবার পালিত হয় এই বড় মঙ্গল উৎসব।

এই দিনে শহরের প্রতিটি হনুমান মন্দিরে বড় করে পুজোর আয়োজন হয়। ভক্তরা ভিড় জমান এই মন্দিরগুলিতে। যার মধ্যে রয়েছে আলিগঞ্জের হনুমান মন্দির, হনুমান সেতু মন্দির, দক্ষিণমুখী হনুমান মন্দির এবং পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির।

কথিত আছে লখনউয়ের নবাব সুজা-উদ-দৌল্লার হিন্দু স্ত্রী জনাব-এ-আলিয়া ৩৫০ বছর আগে এই বড় মঙ্গল উৎসব পালনের সূত্রপাত করেন। তারপর থেকেই লখনউ শহরে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

এই উৎসবের আরও এক আকর্ষণ পথের ধারে বসা ভাণ্ডারা। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রতি মঙ্গলবার যখন হাজার হাজার ভক্ত হনুমান মন্দিরগুলিতে পুজো দিতে যান তখন সেই পথে অনেক মানুষ ভাণ্ডারা দেন।

ভাণ্ডারায় ভক্তদের বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে থাকে পুরি সবজি, ছোলে বাটুরে থেকে চাউমিন, বার্গারও। এছাড়া থাকে সরবত বা অন্য ঠান্ডা পানীয়। যে প্রসাদ পেতে অনেক ধনী মানুষও গাড়ি থেকে নেমে লাইন দেন রাস্তার ধারের ভাণ্ডারায়।

ভাণ্ডারাগুলির ধারে আবর্জনা পরিস্কারের জন্য তৈরি থাকে লখনউ পুরসভাও। তারা বিনামূল্যে এই সাফাইয়ের বন্দোবস্ত করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk