National

এ থানার পুলিশ চোর ডাকাত ধরে কম, ঘটকালি করে বিয়ে দেয় বেশি

থানা মানেই সমাজের অন্ধকার জগতের মানুষজনকে নিয়ে কাজ। তাদের পাকড়াও করা পুলিশের অন্যতম কাজ। কিন্তু এ থানায় অপরাধী ধরা পড়ে কম, বিয়ে হয় বেশি।

Published by
News Desk

সাধারণ মানুষ থানা নামক চত্বরটি এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করেন। সারাদিন সমাজের অপরাধমূলক কাজে যুক্ত মানুষদের চিহ্নিত করে তাদের পাকড়াও করা থানায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের অন্যতম কাজ।

তবে পুলিশের সমাজসেবা মূলক কাজও থাকে। যা একটু বেশি করেই নজরে পড়ে একটি থানায়। স্থানীয়রা মজা করে বলেন এ থানার পুলিশকর্মীরা অপরাধী ধরেন কম, বিয়ে দেন বেশি।

কার্যত ঘটকালি করে বিয়ে দেওয়াকে একটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন তাঁরা। ৪ দিনে ৩টি বিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তাও বাইরে কোথাও নয়, থানার মধ্যেই থাকা মন্দিরকে বিয়ে হয়েছে। আয়োজন করেছেন পুলিশকর্মীরাই।

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলার ঘুরপুর থানায় গত শনিবার থেকে ৩টি বিয়ে হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই একটা জিনিস মিলে গেছে।

প্রথমে তরুণী এসে অভিযোগ দায়ের করেছেন যে তাঁর প্রেমিক তাঁকে এতদিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন বেঁকে বসেছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে না নেমে পুলিশ তরুণীর বাড়ির লোকজন এবং তাঁর প্রেমিকের বাড়ির লোকজনকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছে। তারপর তাঁদের বসিয়ে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে বিয়েতে রাজি করিয়েছে।

বিয়ের আয়োজনও করেছে। বরমাল্য থেকে সিঁদুর, থানার চত্বরে থাকা মন্দিরে আয়োজন থেকে পুরোহিত ডেকে বিয়ে দেওয়া, সব দায়িত্বই পালান করেছেন পুলিশকর্মীরা।

নবদম্পতির পরিবারের পক্ষ থেকেও পুলিশকর্মীদের মিষ্টি খাওয়ানো ও খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সব মিলিয়ে থানা চত্বর কার্যত বিয়েবাড়ির চেহারা নেয়। পুলিশের অপরাধী ধরার পাশাপাশি এই কাজকে পুলিশ কর্তারা কিন্তু সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় হিসাবেই দেখছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk