গোবর প্রক্রিয়াকরণের যন্ত্র, ছবি - আইএএনএস
৯ হাজার গরু দিনে ১ লক্ষ কেজি গোবর দিচ্ছে। সেই গোবর ফেলে নষ্ট করার কোনও মানে হয়না বলেই মনে করছেন তাঁরা। এঁরা সকলেই আইআইটি থেকে পাশ করে বার হওয়া ছাত্র।
এঁরা বেছে নিয়েছেন গোবরকে। গোবরেই রোজগারের আলো খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। তাই তাঁরা উত্তর দিল্লির শ্রীকৃষ্ণ গোশালা থেকে গোবর সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করা শুরু করেছেন।
এজন্য প্রথমে তাঁরা ৪টি মেশিন ব্যবহার করছিলেন। এবার তাঁদের হাতে আরও একটি মেশিন তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পশু কল্যাণ মন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা।
মেশিনগুলি কিন্তু প্রাথমিকভাবে গোবরকে প্রক্রিয়াকরণ করে তা থেকে গোবরের একটি করে মোটা টুকরো তৈরি করছে। এই প্রক্রিয়াকরণের সময় গোবরের সঙ্গে শুকনো খড় মিশিয়ে তা থেকে লম্বা লম্বা টুকরো বার করা হয়। সেগুলি রোদে শুকিয়ে তৈরি হয় গোবরের মোটা লাঠি বা গুঁড়ি।
এই টুকরোগুলি নানা জিনিস তৈরির সঙ্গে সঙ্গে শ্মশানেও কাজে লাগছে। সেখানে দিনে কম করে ৫ থেকে ৭টি মৃতদেহ সৎকার হচ্ছে এই গোবরের গুঁড়ি দিয়ে। যা অনেকগুলি গাছকে রক্ষা করছে। কারণ একটি দেহ সৎকারে কাঠের চুল্লিতে ২টি গাছের কাঠ লেগে যায়।
মৃতদেহ সৎকার ছাড়াও এখন এই গোবরের টুকরো থেকে তৈরি হচ্ছে দিয়া, রাখি। তৈরি হচ্ছে ছোট ছোট হোম কুণ্ড।
এছাড়া এখন এই তরুণরা একটি পেটেন্টের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন। তাঁরা গোবর দিয়েই তৈরি করছেন এক বিশেষ ধরণের মাটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা