National

কাটতে হবে পাকা ফসল, অথচ ভয়ে আখ ক্ষেতে ঢুকতেই পারছেন না কৃষকরা

আখ সব পেকেছে। এবার তা কেটে ঘরে তুলতে হবে। কিন্তু বিপুল জমি জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আখ ক্ষেতের আশপাশেও ঘেঁষতে পারছেন না কৃষকরা।

Published by
News Desk

আখ চাষ করে এবার ফসল ঘরে তোলার পালা। আখ সব পেকে গেছে। এবার তা কেটে ফেলতেই হবে। কিন্তু তার জন্য তো আখ ক্ষেতে যেতে হবে। সেটাই তো পেরে উঠছেন না আখ চাষিরা।

ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন তাঁরা। দিনের পর দিন আখ ক্ষেতে পাকা আখ পড়ে আছে অবহেলায়। চাষিদের দোষ নেই। তাঁরা আপ্রাণ চাইলেও প্রাণের মায়া তো ত্যাগ করে ফসল কাটতে যাবেননা!

উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট জেলার নিজামপুরে প্রচুর আখ ক্ষেত রয়েছে। আর সেই আখ ক্ষেতের এখন দখল নিয়েছে এক মা লেপার্ড ও তার ৫ সন্তান।

আখ ক্ষেতের কাছেই জঙ্গল। কিন্তু সেখানে ফেরত যাওয়ার নাম নিচ্ছে না মা লেপার্ড। বরং আশপাশের নানা আখ ক্ষেতে পাল্টে পাল্টে সন্তানদের রাখছে মা লেপার্ড।

আখ গাছ বেশ লম্বা হয়। যথেষ্ট ঘনও হয়। ফলে সেই ক্ষেতে কোথায় যে লেপার্ডরা ওঁত পেতে বসে আছে তা বোঝার উপায় নেই।

এদিকে অন্য বিপদেও পড়েছেন কৃষকরা। আখ প্রধানত ব্যবহার হয় চিনি তৈরি করতে। এখানকার চিনি কলের তরফে আবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হয় আখ চাষিদের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আখ সেখানে জমা দিতে হবে, নচেৎ আর তাঁদের আখ গ্রহণ করা হবেনা। উভয়সংকটে এখন রাতের ঘুম উড়েছে চাষিদের।

বন দফতরের বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, আখ ক্ষেত থেকে জঙ্গলের দূরত্ব ৫০০ মিটারের মত। অতটা দূরত্ব মা লেপার্ডের পক্ষে তার ছোট্ট সন্তানদের মুখে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সে আখ ক্ষেত থেকে সন্তানদের নিয়ে নড়ছে না।

ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া চাইছে যতক্ষণ না লেপার্ডের ওই ৫ সন্তান বড় হয়ে নিজেরা হেঁটে যেতে সক্ষম হয়, ততদিন আখ না কাটাই ভাল। তাহলে চাষিদের কি হবে? সেটা অবশ্য এখনও পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk