প্রতীকী ছবি
চুরি করতে সে সিদ্ধহস্ত। এজন্য তাকে বাড়ি থেকে বারও করে দেওয়া হয়েছিল। এক সময় পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে সে। তারপর ছাড়া পেয়ে সোজা চলে আসে কলকাতায়। এখানে সে ট্যাক্সিচালক হিসাবে কাজ করতে শুরু করে।
সে সময় তার সঙ্গে আলাপ হয় রোহিত মণ্ডল নামে একজনের সঙ্গে। ভালই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। কলকাতায় এক তরুণীর সঙ্গেও তার আলাপ হয়। যিনি বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২ জনে বিয়েও করে।
বিয়ের পর তরুণীর সঙ্গে বাংলাদেশের ঢাকা শহরে গিয়ে থাকতে শুরু করে বিনোদ কুমার। কিন্তু সেখানে ভাল লাগেনি। তাই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই স্ত্রীকে নিয়ে সে বেঙ্গালুরু শহরে হাজির হয়।
বিনোদ কুমার স্থির করে স্ত্রীকে নিয়ে সে ইউরোপে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করবে। কিন্তু তার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। সেই টাকা সংগ্রহ করতে ফের তার পুরনো অভ্যাসে ফেরে বিনোদ কুমার। শুরু হয় একের পর এক চুরি।
শহরে ঘনঘন চুরির ঘটনা ঘটায় পুলিশ নড়েচড়ে বসে। শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে নেমে পুলিশ বিনোদ কুমারের খোঁজ জোগাড় করে। তারপর তাকে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ শহর থেকে গ্রেফতার করে।
সেখানে সে ধনীর মত জীবনধারণ করছিল। তার কাছ থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না, ২ লক্ষ টাকা নগদ, ৩০টি দামি ঘড়ি এবং ৬টি আইপ্যাড উদ্ধার হয়। পুলিশ জানাচ্ছে বিনোদ কুমার টানা ২২টি চুরি করে। আপাতত তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা