ডাক্তার, প্রতীকী ছবি
এ কাহিনির সূত্র খুঁজতে ফিরে যেতে হবে গত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে। পুলিশ এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করে ১৮ মহিলাকে বিয়ে করে তাঁদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে। এই ১৮ জন মহিলা বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা।
ওই ব্যক্তি তাঁদের কাউকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ডেপুটি জেনারেল পরিচয় দিত, কখনও চিকিৎসক পরিচয় দিত। তার টার্গেট ছিলেন মধ্যবয়সী মহিলারা। যাঁরা একাই থাকেন এবং প্রতিষ্ঠিত।
ওড়িশা পুলিশ রমেশ চন্দ্র সাঁইকে গ্রেফতার করে। এদিকে রমেশ চন্দ্র সাঁই গ্রেফতার হওয়ার পরই তার দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পট দেন। পুলিশ তার খোঁজে প্রয়াগরাজ ও বারাণসীতে হাজির হয়।
কিন্তু পুলিশ আসার আগেই তিনি সেখান থেকে পালান। অবশেষে গত সোমবার কমলা তিরকি নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যিনি পেশায় একজন চিকিৎসক।
পুলিশ জানাচ্ছে, এই কমলা তিরকি রমেশ চন্দ্র সাঁইকে মহিলাদের ধোঁকা দিয়ে তাঁদের বিয়ে করতে সাহায্য করতেন। অন্য মহিলাদের কীভাবে ধোঁকা দেওয়া যায় তার পথ বাতলে দেওয়া থেকে নানা ভাবে মহিলাদের জালে জড়াতে রমেশকে সাহায্য করতেন রমেশের এই দ্বিতীয় স্ত্রী।
এছাড়াও এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যিনি আবার রমেশের বোন বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে রমেশকে একের পর এক বিয়ে করতে সাহায্য করতেন।
গ্রেফতার করা হয়েছে রমেশের গাড়ির চালককেও। দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় ফেল করা রমেশ চন্দ্রের কাহিনি যত দিন যাচ্ছে ততই নতুন করে সামনে আসছে সকলের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা