National

স্বপ্নাদেশে তৈরি করলেন পার্থসারথি মন্দির, এবার যাচ্ছেন হজ করতে

স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তিনি। তার পরদিনই গ্রামে ফিরে তৈরি শুরু করেন পার্থসারথি মন্দির। নিজের খরচে। এবার তিনি যাচ্ছেন হজ করতে।

Published by
News Desk

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি এসেছিলেন মায়াপুরে। ৮ জানুয়ারি তিনি তখন মন্দিরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি স্বপ্নে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দেখা পান। মহাপ্রভু তাঁর হাতটা ধরেন। তারপর বলেন তিনি যেন তাঁর গ্রাম মহেশবাথানে শ্রীকৃষ্ণের একটি মন্দির নির্মাণ করেন।

পরদিনই তিনি ফিরে আসেন ঝাড়খণ্ডের দুমকায় তাঁর গ্রামে। তারপর কাল বিলম্ব না করে শুরু করেন মন্দির নির্মাণের কাজ। সংবাদ সংস্থার কাছে এমনই দাবি করেছেন নৌসাদ নামে এক মুসলিম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি।

তাঁর ধর্মীয় সৌভ্রাতৃত্বের কথা এখন মুখে মুখে ঘুরছে। তাঁর সেই মন্দির তৈরি হয়েছে। বাংলা হরফে সাদা মন্দিরের গায়ে ঝলমল করছে শ্রীশ্রী পার্থসারথি মন্দির।

প্রসঙ্গত পার্থ ছিল মহাভারতে অর্জুনের নাম। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের রথের সারথি ছিলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তাই শ্রীকৃষ্ণের আর এক নাম পার্থসারথি।

মন্দির তৈরি করতে নৌসাদের খরচ হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকার মত। এই ব্যয়ভার একাই বহন করেছেন তিনি। নৌসাদ জানান তাঁর ব্যবসা ভালই চলছে। জমিজমাও রয়েছে যথেষ্ট। সামর্থ্য থাকায় তাই তিনি এই মন্দির নির্মাণের জন্য কারও কাছে হাত পাতেননি।

মন্দির নির্মাণ শেষ। এবার নৌসাদ চাইছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিসাবে হজ করতে যেতে। সেই উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন। মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা জীবনে একবার অন্তত হজ করতে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন।

নৌসাদের গ্রাম মহেশবাথানে এখন পার্থসারথি মন্দিরে ২ ধর্মের মানুষই হাজির হন। প্রসঙ্গত ওই গ্রামের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক হিন্দু, অর্ধেক মুসলিম। ধর্মীয় সৌভ্রাতৃত্বের মধ্যে দিয়ে ২ ধর্মের মানুষই এখানে চিরদিন একে অপরের অনুষ্ঠানে হাজির হন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk