ফাইল : করোনা প্রতিষেধক টিকা, ছবি - আইএএনএস
চিকিৎসা বিজ্ঞান এ ঘটনার ব্যাখ্যা এখনও খুঁজে পায়নি। এমনটা কীভাবে সম্ভব? করোনার প্রতিষেধক টিকা এমন চমৎকারও দেখাতে পারে নাকি? কারণ জানতে ৩ সদস্যের কমিটি তৈরি হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছে এই আশ্চর্যের পিছনে কি রহস্য লুকিয়ে আছে সেটা।
গত ৪ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার পিতারওয়ার গ্রামের বাসিন্দা ৪৪ বছর বয়সী ধুলিচাঁদকে বাড়ি গিয়ে করোনা প্রতিষেধক টিকা দেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। বাড়ি গিয়ে দেওয়া হয় কারণ তিনি চলার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন ৫ বছর হয়ে গেছে।
৫ বছর আগে একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ধুলিচাঁদ। সেই দুর্ঘটনা তাঁর হাঁটার ক্ষমতা কেড়ে নেয়। কথা বলার শক্তিও প্রায় হারান তিনি। শয্যাশায়ী ধুলিচাঁদকে বাড়িতেই করোনা প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়।
এর একদিন পর গোটা গ্রাম হাঁ হয়ে যায়। ধুলিচাঁদকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল। সেই টিকা শরীরে প্রবেশের একদিনের মধ্যে দেখা যায় ধুলিচাঁদ বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন। চলার ক্ষমতা ফিরে পেয়েছেন তিনি।
একটু সাহায্য লাগছে। তবে হাঁটতে পারছেন। কথাও বলছেন। এমন চমৎকার দেখে গোটা গ্রাম হামলে পড়ে ধুলিচাঁদের বাড়িতে। কেউই প্রায় বিশ্বাস করতে পারছিলেননা তাঁরা যা দেখছেন তা সত্যি।
করোনা তাড়ানোর টিকা একজন শয্যাশায়ী মানুষকে কীভাবে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে তা এখনও চিকিৎসক থেকে গবেষক কারও মাথায় ঢুকছে না। ৩ সদস্যের কমিটি এখন কি কিনারা করে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।