বরফের চাদরে মোড়া কাশ্মীরের বারামুলা, ছবি - আইএএনএস
এখন ভূস্বর্গে চলছে চিল্লাই কলন। স্থানীয়রা যাকে চরম ঠান্ডার দিন বলেন। ভূস্বর্গে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ে এই ৪০টা দিনেই। হাড় হিম করা ঠান্ডায় এখন সবই বরফ। এই বরফ পর্যটকদের যতটাই আনন্দ দেয়, স্থানীয়দের দুর্ভোগের কারণ ততটাই হয়।
এর মাঝে আবার রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই ফের হানা দিল জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখে। চারিদিক ঝাপসা হয়ে গেছে এর জেরে।
পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত হয়ে চলেছে। তবে পরিমাণে কম। অন্যদিকে সমতল এলাকায় হচ্ছে প্রবল বৃষ্টি। তার জেরেই কনকনে ঠান্ডা কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে জম্মু কাশ্মীর থেকে লাদাখ, সর্বত্রই তরতর করে চড়ছে পারদ। খোদ দ্রাসে যেখানে এবার এক সময় পারদ মাইনাস ১৮ পার করে গিয়েছিল সেখানে পারদ চড়ে এদিন রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ৮.৯ ডিগ্রি।
কার্গিলে পারদ চড়ে হয়েছে মাইনাস ০.২ ডিগ্রি, লেহতে হয়েছে মাইনাস ৫.৬ ডিগ্রি। শীতের দিনের তুলনায় এই সব পারদ অনেকটাই চড়া। একই অবস্থা শ্রীনগর, পহেলগাম বা গুলমার্গে। সর্বত্রই পারদ চড়েছে। শ্রীনগরে পারদ তো মাইনাস থেকে চড়ে প্লাসে চলে এসেছে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে এই পরিস্থিতি ৬ ও ৭ জানুয়ারিও বজায় থাকবে। ভূস্বর্গের আবহাওয়া ফের বদলাবে ৯ জানুয়ারি থেকে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে যাবে। ফের সেখানে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা তার দাপুটে ইনিংস শুরু করবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা