ফাইল : অযোধ্যায় দীপোৎসব, ছবি - আইএএনএস
সে হাজার খানেক বছর আগের কথা। সে সময় কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি জলপথে যোগাযোগ ছিল। শোনা যায় সে সময় কোরিয়ার রাজকন্যা হেও হাং ওক ভারতের অযোধ্যা শহরে হাজির হন। তিনি কোরিয়া থেকে স্থলপথে নয়, জলপথে এসে পৌঁছন অযোধ্যায়। হেও হাং ওক অবশ্য ভারতে পরিচিতি পান সুরিরত্ন নামে।
সুরিরত্ন যদি জলপথে অযোধ্যা এসে থাকতে পারেন সুদূর অযোধ্যা থেকে তবে এখন কেন অযোধ্যাকে জলপথে যুক্ত করা যাবেনা? হাজার বছর আগে যা সম্ভব তা তো এখন আরও বেশি করে সম্ভব হওয়া উচিত!
এই ভাবনা থেকেই এবার নড়েচড়ে বসেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। রাম মন্দির নির্মাণকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা হচ্ছে অযোধ্যাকে।
বিমান, রেল ও সড়ক যোগাযোগ, সবদিক থেকে উন্নত করে তোলা হচ্ছে শহরকে। যাতে এখানে পৌঁছতে কারও কোনও সমস্যা না হয়। সেই তালিকায় ছিলনা জলপথে যোগাযোগের বন্দোবস্ত। এবার সেই পথও খুলে দিতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
অযোধ্যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সরযূ নদী। সেই সরযূ নদী পথে অযোধ্যার সঙ্গে দেশের অন্য অংশের যোগাযোগ স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। যাতে আগামী দিনে কেউ জলপথেও সহজে পৌঁছে যেতে পারেন রাম মন্দির দর্শনে অযোধ্যা শহরে। যোগাযোগের যত রাস্তা সুগম হবে ততই অযোধ্যায় পর্যটক ও ভক্ত সমাগম হবে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা