National

অক্লান্ত পরিশ্রম, মেডিক্যালে সফল দিনমজুরের ছেলে

নিজের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য হাল না ছেড়ে লড়ে গিয়েছেন তিনি। পাশে ছিল পরিবার, শিক্ষক আর গ্রামবাসীরা। আজ গোটা গ্রামের গর্ব তিনি।

Published by
News Desk

পরিশ্রমই সফলতার চাবিকাঠি। জন্ম প্রত্যন্ত গ্রামে হলেও পরিশ্রমই সাফল্য এনে দিয়েছে দিন মজুরের ছেলেকে। অপ্রতুল পারিবারিক পরিস্থিতি ছাড়াও আশপাশে নেই সঠিক পরিকাঠামো। গ্রামে দিনে মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। ১০ কিলোমিটার দূর থেকে আনতে হয় জল।

৫ জনের পরিবারে বাবা ও ভাই নির্মাণকর্মী। মা ১০০ দিনের কাজ করেন। ছোটবোন দশম শ্রেণীর ছাত্রী। জমি আছে কিছু, কিন্তু তা এতটাই রুক্ষ যে চাষাবাদ সেরকম হয় না। বছরে একবারই বাজরার ফলন হয়। টেনেটুনে চলে সংসার।

অর্থের যোগানে অভাব থাকলেও দুধারামের স্বপ্নে ছেদ পড়েনি কখনও। কুঁড়ে ঘড়ে থেকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন দুধারাম। রাজস্থানের বারমের জেলার কামথাই গ্রামের প্রথম ডাক্তারি পড়ুয়া হতে চলা দুধারাম সব প্রতিকূলতাকে হার মানিয়েছেন পরিশ্রম আর মনের জোরে।

৮২ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্কুলের গণ্ডি পার করেন জীবন যুদ্ধে লড়াই দেওয়া গ্রামের ছেলে দুধারাম। ২০১৮ সাল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিলেও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার মত ব়্যাঙ্ক হচ্ছিল না।

২০২০ সালে ভর্তি হন জামনগরের আয়ুর্বেদ কলেজে। পাশাপাশি চলতে থাকে ফের প্রবেশিকায় বসার প্রস্তুতি। দুধারামের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ধরা দিল ২০২১ সালে।

এবছর নিট পরীক্ষায় ৭২০-র মধ্যে ৬২৬ নম্বর পেয়ে ৯৩৭৫ ব়্যাঙ্ক করেন দুধারাম। সুযোগ হয় সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার।

দুধারাম জানিয়েছেন একমাত্র কঠিন পরিশ্রমই তাঁকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। ভবিষ্যতে নিটে বসতে চলা পরীক্ষার্থীদেরও তিনি পড়ার বিষয়ে সাহায্য করতে চান।

দুধারামের সাফল্যর পিছনে রয়েছেন তাঁর শিক্ষক রাজেন্দ্র সিংও। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চলা দুধারামের লক্ষ্য এই মুহুর্তে এমবিবিএস পড়ায় মনোযোগ দেওয়া। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk