অসমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত হাতি, ছবি - আইএএনএস
দেশের প্রাণিজগৎ যাতে প্রকৃতির কোলে তাদের মত করে বাঁচতে পারে সে দায়িত্ব মানুষের। কিন্তু সেই মানুষেরই লালসা, লোভ আর ভুলের শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
এদিন অসমে বছর ৪৬-এর একটি হাতির দেহ পাওয়া গেছে। যার মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুতের সংস্পর্শে এসে। এই নিয়ে এক মাসের মধ্যে ঠিক এইভাবে মৃত্যু হল ৩টি হাতির। এর কারণ কিন্তু মানুষই।
কারণ অসমের জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে মানুষ বেআইনিভাবে খেতের চারপাশে বিদ্যুতের তার দিয়ে রাখছেন। যে তারে ছোঁয়া লেগে প্রাণ যাচ্ছে এই নিরীহ প্রাণিদের।
যেখানে মানুষের ভুলে অসমে এক ৪৬ বছরের হাতির প্রাণ গেল সেখানে কর্ণাটকে আবার মানুষের লোভের শিকার হয়ে পাচার হতে হতে শেষ মুহুর্তে রক্ষা পেল ৩৮০টি কচ্ছপ।
অতিবিরল প্রাণির যে তালিকা রয়েছে তাতে কিন্তু এই কচ্ছপদের নাম রয়েছে। ভারতীয় স্টার কচ্ছপদের অতিবিরল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেই কচ্ছপদেরই লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা চলছিল কর্ণাটকের কলসিপালিয়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে এক ব্যক্তি ২টি বাক্সে করে কচ্ছপগুলিকে পাচারের চেষ্টা করছিল। ২টি বাক্স মিলিয়ে আসলে ৪০১টি কচ্ছপ ছিল। যেগুলি উদ্ধারের পর দেখা যায় তারমধ্যে ২১টির মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা বেঁচে আছে। তবে ২০টির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পাচারের আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ হানা দিয়ে মুথু হামাদ মীনা নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এই কচ্ছপগুলি বিদেশে পোষার প্রচলন আছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা