ফাইল : গ্রামের কৃষক, ছবি - আইএএনএস
বৃষ্টিটা রাত থেকেই হচ্ছিল। এবার এমনিতেই বৃষ্টি পিছু ছাড়ছে না। ভোর হতেই তাই আর দেরি না করে পেশায় কৃষক রইস খান ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন ক্ষেতের দিকে। প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষেত তখন জলের তলায়।
ধান ঘরে তোলার সময় হতে আসছে। ধান পেকেছে জমিতে। সেই পাকা ধান পুরোটাই জলের তলায় চলে গেছে তখন। বছর ষাটের রইস খানের অভিজ্ঞ চোখ বুঝতে ভুল করেনি যে তাঁর ১০ বিঘা জমি জুড়ে থাকা ধান শেষ হয়ে গিয়েছে।
এতদিনের বোনা ফসল সব শেষ। এটা দেখার পর সেই আঘাত আর সহ্য করতে পারেননি তিনি। বুকে হাত দিয়ে জলে থৈথৈ ক্ষেতেই লুটিয়ে পড়েন।
পরিবারের লোকজন দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও রইস খান বাড়িতে না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান। তাঁরা খোঁজ নিতে হাজির হন ক্ষেতে। দেখেন সেখানে নিথর হয়ে পড়ে আছেন রইস খান।
তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
রইস খানের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে যে তাঁর হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিলই। তার ওপর এবার খামখেয়ালি বৃষ্টির জন্য পুরো বর্ষাকালটাই তিনি তাঁর ফসল নিয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ঘটনা জানার পর জানানো হয় রইস খান তাঁর ক্ষতির পরিমাণ জানিয়ে তাঁদের কাছে এসে সরকারি নিয়মে কিছু ক্ষতিপূরণ পেতেন। তাঁরা এখন খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন রইস খানের কোনও ঋণ ছিল কিনা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রামপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা