সোনার কয়েন, প্রতীকী ছবি
একটি সোনার কয়েন রাখা ছিল বিছানার তলায় একটি প্যাকেটে। কোনওভাবে সেই প্যাকেট পড়ে যায়। তারপর বাড়ির জঞ্জালের মধ্যে চলে যায়।
সেই জঞ্জাল চলে যায় কাছের ভ্যাটে। সেখান থেকে তা নিয়ে যাওয়ার আগে এক সাফাইকর্মী যাবতীয় জঞ্জাল আলাদা করছিলেন। সেই সময় তিনি একটি ঠং করে ধাতু পড়ার মত আওয়াজ পান।
এমন তো অনেক কিছুই আসে জঞ্জালের সঙ্গে। প্রথমে বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলেও এক সময় ওই সাফাইকর্মীর নজরে পড়ে একটি কয়েন পড়ে আছে জঞ্জালের মধ্যে।
সেটি তুলেই তিনি বুঝতে পারেন এ কয়েন সোনার। আর সময় নষ্ট করেননি তিনি। দ্রুত সেটি নিয়ে হাজির হন স্থানীয় থানায়।
থানায় এদিকে আগেই কয়েনটি হারানোর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ভ্যাটের কাছের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করে দেখে। কিন্তু বিশেষ ফল হয়নি।
এমনকি পুরসভার যে ব্যক্তি ওই জঞ্জাল সাফাই পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তাঁকেও জানান কয়েনের মালিক। তিনিও কোনও হদিশ দিতে পারেননি।
কার্যত কয়েনের মায়া ত্যাগ করে ফেলেছিলেন ওই ব্যক্তি। আর ঠিক সেই সময়ই ওই মহিলা সাফাইকর্মী কয়েন নিয়ে হাজির হন থানায়।
পুলিশ কয়েনের মালিককে কয়েন ফেরত দিয়ে দিয়েছে। এও সাফাইকর্মী জানান ১০০ গ্রাম ওজনের ওই কয়েন হাতে পাওয়ার পর তাঁর দ্বিতীয় কোনও চিন্তা মাথায় আসেনি। তিনি স্থির করেন তখনই পুলিশের কাছে সেটি জমা দেবেন।
পরে ওই মহিলার সততা ও নির্লোভ আচরণের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে তাঁকে বাহবা জানানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা