National

নদীর ধারে বসে ১২০০ মৃতের পিণ্ডদান করলেন ২ মন্ত্রী

২ মন্ত্রী এখন চর্চার প্রাণকেন্দ্রে। মানুষ তাঁদের সাধুবাদ জানাচ্ছেন। ১২০০ মৃতের পিণ্ডদান করলেন যে তাঁরা। এই মহৎ কর্মে দ্রুত মন জয় করলেন ২ জন।

Published by
News Desk

করোনা ছারখার করে দিয়েছে বহু পরিবারকে। এমন বহু মানুষ আছেন যাঁদের মৃত্যু হয় করোনায়, কিন্তু তাঁদের দেহ নিতে পরিবারের কেউ হাজির হননি বা তাঁদের কেউ নেই। এমন ১ হাজার ২০০টি দেহ পড়েছিল সরকারি হেফাজতে।

তাঁদের পরিবার তাঁদের দেহ নেননি বা তাঁদের কেউ কোথাও নেই বলে কি মৃত্যুর পর তাঁদের শেষকৃত্যটুকু হবে না? সেই প্রশ্নকে সামনে রেখে কর্ণাটক সরকার তার রাজ্যের ১ হাজার ২০০ জন করোনা মৃতের সৎকারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। সৎকার হওয়ার পর তাঁদের অস্থি বিসর্জন বা ভস্ম নদীর জলে ভাসানোর দায়িত্ব পালন করেন রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোক।

দক্ষিণের কাশী বলে খ্যাত কর্ণাটকের মাণ্ড্য জেলার কাবেরী নদীর তীরে অবস্থিত শ্রী কাশী বিশ্বনাথেশ্বর মন্দিরের পাশে কাবেরীর জলে এই অস্থি বিসর্জন ক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় গত ২ জুন।

সেই ১ হাজার ২০০ জনের এদিন হল শ্রাদ্ধকর্ম ও পিণ্ডদান। পিণ্ডদান অবশ্য অশোকই একা করেননি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ক্রীড়ামন্ত্রী নারায়ণ গৌড়া। এছাড়াও ছিলেন ২ প্রশাসনিক কর্তা।

তাঁদের হাত দিয়েই এই ১ হাজার ২০০ জন করোনায় মৃতের পিণ্ডদান ক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। একেবারে সনাতনি প্রথা মেনেই কাজ হয়।

প্রসঙ্গত গরুড় পুরাণ অনুযায়ী চাল, ঘি ও কালো তিল মেখে পিণ্ডদান করলে আত্মা তার পূর্বপুরুষদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে। এই পুরো পিণ্ডদান ক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় কাবেরী নদীর ধারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk