National

বৃদ্ধ শিক্ষকের আর্জি শুনে বাক্যহারা মুখ্যমন্ত্রী

জনতা দরবার-এ এক বৃদ্ধ শিক্ষকের আর্জি শুনে কার্যত থ বনে গেলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হতবাক হলেও বিষয়টি সামলে নেন।

Published by
News Desk

২০ বছর হল শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন যে টাকা পেনশন পান তার একটা অংশ খরচ করেন গ্রামের নানা সেবামূলক কাজে।

বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার বিহিয়া গ্রামের বাসিন্দা যোগেন্দ্র মিশ্র এই বৃদ্ধ বয়সেও হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দরবার-এ। তিনি বলতে উঠে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তাঁর গ্রাম বিহার ও উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে অবস্থিত।

কুশিনগর শহর তাঁর গ্রাম থেকে ১ কিলোমিটার দূরে। তাঁদের গ্রামে কারও সামান্য শরীর খারাপ হলেও তাঁকে কুশিনগরেই যেতে হয়।

ফাইল : নীতীশ কুমার, ছবি – আইএএনএস

অন্যদিকে চিকিৎসা হোক বা কোনও প্রশাসনিক কাজ, গোপালগঞ্জ শহরে পৌঁছতে তাঁর গ্রামের মানুষের কালঘাম ছুটে যায়।

তাই তাঁর গ্রামকে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হোক। যোগেন্দ্র মিশ্রর যুক্তি হল কুশিনগরে গিয়েই যদি তাঁদের চিকিৎসাটাও করাতে হয় তাহলে বিহারে থাকার চেয়ে বরং উত্তরপ্রদেশে থাকাই ভাল।

এই আর্জি শুনে কার্যত থ বনে যান নীতীশ কুমার। তারপর মুচকি হেসে তিনি তাঁর এক আধিকারিকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে নিতে বলেন ওই বৃদ্ধকে।

যদিও এটা প্রশাসনিক স্তরে সকলেই মেনে নিচ্ছেন যে ওই বৃদ্ধের আর্জি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তবু মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে এক আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে বলে কার্যত ভদ্রতাই করেছেন বলে মেনে নিচ্ছেন তাঁরা।

যদিও এটাও ঠিক যে বিহারের কিছু অংশের মানুষ পরিষেবা পেতে কতটা সমস্যায় পড়েন তার একটা উদাহরণ হিসাবে সামনে এল এই আর্জি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk