ফাইল : বাংলাদেশের কাপড় কারখানা, ছবি - আইএএনএস
করোনা বহু মানুষের রুজি কেড়ে নিয়েছে। এটা এখন প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু অনেক কারখানার মালিকও যে মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন তা বোধহয় জানা ছিলনা। কাজ জানা শ্রমিকের অভাবও যে প্রকট হয়েছে তা বোঝা গেল একটা পোস্টারে।
পোস্টারটি পড়েছে শহর জুড়েই। আর সেখানে এক পোশাক কারখানার মালিক সাফ জানিয়েছেন তাঁর কারখানায় কাজে যোগ দিয়ে কেউ যদি ৮ মাস কাটান তাহলে মাইনে বাদ দিয়েও তাঁকে কারখানার তরফে একটি সোনার আংটি উপহার দেওয়া হবে।
পোশাক তৈরির কারখানায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা ওভারলক কর্মীদের। ওই ওভারলক ডিভিশনে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সেলাইতে দক্ষ হন।
ওভারলক এক ধরনের সেলাই। যার ওপর কোনও পোশাকের ফিনিশিং নির্ভর করে। তাই ওভারলক কর্মীদের চাহিদা ভীষণ।
তামিলনাড়ুর ত্রিচূড়ে পোশাক কারখানা অনেক। ফলে এখানে ওভারলক কর্মীদের চাহিদাও খুব। এমনিই এক কারখানার মালিক এখন হন্যে হয়ে দক্ষ ওভারলক কর্মী খুঁজছেন। দক্ষ শ্রমিকদের আকর্ষিত করতেই তাঁর এই অভিনব অফার।
বাস্তবে ওভারলক শ্রমিকদের চাহিদা সবসময় থাকে ত্রিচূড় সহ যেখানে পোশাক কারখানা বেশি সেখানে। এঁরা সপ্তাহে মাইনে পান।
এমনও হয় যে এক সপ্তাহ একটি কারখানায় কাজ করার পর অন্য কারখানায় চলে যান ওভারলক কর্মীরা। এক্ষেত্রে ৪০ বছরের কুমার এমন শ্রমিক না পেয়ে মহা মুশকিলে পড়েছেন। তাঁর সব অর্ডার আটকে পড়ে আছে। তাই এবার এই অভিনব অফার দিয়ে শ্রমিক পেতে মরিয়া তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা