National

টিকার নাম শুনলেই অদ্ভুত এক কাণ্ড করছেন আদিবাসীরা

টিকার নাম শোনার অপেক্ষা। নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের পর গ্রাম। আজব কাণ্ড করছেন আদিবাসীরা। ফলে বেকায়দায় পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও।

Published by
News Desk

স্বাস্থ্যকর্মীদের দল পাঠিয়ে অনেক প্রত্যন্ত জায়গায় করোনা প্রতিষেধক টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে বিভিন্ন রাজ্যসরকার। অনেক জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনের তরফে প্রচার করা হচ্ছে আগে থেকে। যাতে কেউ টিকা নিতে দ্বিধা বোধ না করেন।

তারপরেও কখনও দেখা গেছে টিকা দিতে গেলে গ্রামবাসীরা পালিয়ে নদীর এক বুক জলে নেমে গেছেন। আবার কখনও দেখা গেছে তাঁরা পালিয়েছেন চাষের জমিতে। কখনও প্রতিবাদী চেহারা নিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা টিকা নেবেন না।

এবার ওড়িশার বিভিন্ন প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামে গ্রামে গিয়ে সেখানে টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে ওড়িশা সরকার। কিন্তু টিকা দেবে কি! সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা নিয়ে পৌঁছনোর আগেই দেখা গেল গ্রামবাসীরা উধাও।

কটক জেলার ওরদা নামে একটি আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা যেই শুনেছেন যে গ্রামে টিকাকরণ করতে স্বাস্থ্যকর্মীরা আসছেন, তখনই তাঁরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। আশপাশে নয়। অনেক দূরে এক জঙ্গলে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন তাঁরা।

পুরো গ্রাম মানুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। টিকা দেওয়ার চেষ্টা হলে তাঁরা আর ফিরবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন আদিবাসীরা। একই ভাবে টিকাকরণে প্রবল আপত্তি কান্ধামল জেলার বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামে।

কিন্তু কেন এত আপত্তি? আদিবাসী মানুষজনের কারও দাবি তাঁদের একজন একবার একটি ইঞ্জেকশন নেওয়ার কিছুদিন পর মারা যান। তাই তাঁরা ইঞ্জেকশন নেওয়ায় বিশ্বাসী নন।

কেউ আবার কোনও যুক্তি ছাড়াই ইঞ্জেকশন থেকে পালাচ্ছেন। ফলে টিকাকরণ এখন এক কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে।

প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল এই সব মানুষকে টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে অবহিত করে তাঁদের টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক করে তোলা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk