উদ্ধার হওয়া বাঁদরদের দেহ, ছবি - আইএএনএস
একটা বস্তা দেখে চমকে গেলেন কয়েকজন যুবক। ভিতরে এগুলো কোন প্রাণি! একটু নজর দিতেই তাঁরা বুঝতে পারলেন যে ভিতরে ঠাসা রয়েছে বাঁদর!
বাঁদর এমন বস্তাবন্দি অবস্থায় এল কোথা থেকে? সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা অবশ্য মুশকিল ছিল। তার আগে দরকার ছিল বাঁদরগুলির শারীরিক অবস্থা দেখা।
দ্রুত বস্তা থেকে বার করার পর দেখা যায় কমপক্ষে ৩০টি বাঁদরের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
বেশ কয়েকটি বাঁদরকে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়। তাদের শরীর পর্যন্ত নড়ছিলনা। অনেক চেষ্টা করছিল শ্বাস নিতে।
স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাদের জল ও খাবার দেন। জল পান করার পর দেখা যায় অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছে বাঁদরগুলি। সুস্থ হয়ে তারা এদিক ওদিক পালিয়েও যায়। ২টি বাঁদরের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাদের পশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
মৃত ৩০টি বাঁদরের দেহে মারের চিহ্ন রয়েছে। তাদের বিষ দেওয়া হয়েছিল বলেও জানতে পারা গেছে। কে বা কারা বাঁদরগুলির এমন হাল করল তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
তবে পুলিশের অনুমান বাঁদরগুলি স্থানীয় নয়, তাদের অন্য কোথাও থেকে আনা হচ্ছিল। যখন পাচারকারীরা বুঝতে পারে যে বাঁদরগুলিকে নিয়ে আর এগোনো মুশকিল তখন বাঁদর ভর্তি বস্তাটা রাস্তার ওপর ফেলে পালায়।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হাসান জেলার চৌদানাহাল্লি গ্রামে। বাঁদরগুলির দেহ যথাযথভাবে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা