National

মৃত বৃদ্ধের দেহ জড়িয়ে শোকপ্রকাশ, ঘাটকাজে ফিরল সেই একই হনুমান

হনুমানের এমন কাণ্ডের পর অনেকেই অনেক কিছু বলতে শুরু করেছেন। কিন্তু পরিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছে তাদের পরিবারের ওই বৃদ্ধের সঙ্গে হনুমানটির কোনও যোগ ছিলনা।

Published by
News Desk

সত্তরের ঘরে বয়স। নানা বার্ধক্যজনিত রোগ গ্রাস করেছিল তাঁকে। সেই রোগেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। গোটা পরিবার দেহের সামনে দাঁড়িয়ে তখন শোক বিহ্বল।

আচমকা সেখানে হাজির হয় এক হনুমান। কাপড়ে ঢাকা দেহটার ওপর থেকে কাপড় কিছুটা সরিয়ে হনুমানটি তার মাথা রাখে বৃদ্ধের দেহের ওপর। তাঁকে জড়িয়ে যেন শোক প্রকাশ করে।

সমবেত সকলেই হতবাক। এ হনুমানকে আগে তো তাঁরা দেখেননি। এদিকে দেহ জড়িয়ে শোক প্রকাশ করে হনুমানটি কয়েক মিনিট পর সেখান থেকে চলে যায়।

এটা ছিল গত ৩০ জুনের কথা। এরপর গত ১১ জুলাই ছিল ওই ব্যক্তির ঘাটকাজ। কর্ণাটকের বেল্লারি জেলার বাসিন্দা ওই পরিবার তাদের পারিবারিক সদস্যের ঘাটকাজ করতে হাজির হয়েছিল তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে কাম্পলি নামে একটি জায়গায়।

সেখানে পারলৌকিক ক্রিয়া শুরু হতেই পরিবারের সকলে অবাক হয়ে দেখেন আবার হাজির হয়েছে সেই হনুমানটি। তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করে কাজ হয়নি। বরং সে এসে চুপটি করে বসে পড়ে পুরোহিতের কোলে।

কোনও অনিষ্ট করার চেষ্টা করেনি। চুপ করে পুরোহিতের কোলে বসেছিল সে। অগত্যা পুরোহিত হনুমান কোলেই পারলৌকিক কাজ করতে থাকেন। আর যতক্ষণ সে কাজ চলে হনুমান পুরোহিতের কোল ছাড়েনি।

কাজ শেষ হওয়ার পর অবশ্য সে আর থাকেনি। সেখান থেকে চলে যায়। এই ২ দিনই হনুমানটিকে দেখতে পান পরিবারের লোকজন।

মৃত বিশ্বনাথ রাজুকে কি আগে থেকেই চিনত হনুমানটি? পরিবারের তরফে কিন্তু জোর দিয়ে বলা হয়েছে রাজুর সঙ্গে কোনও হনুমানের কোনও সখ্যতা ছিলনা।

জীবিত থাকাকালীন রাজুর আশেপাশে কখনও কোনও হনুমানকে দেখা যায়নি। গোটা ঘটনায় হতবাক পরিবার সহ গোটা এলাকা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk