National

হরপ্পায় ব্যবহৃত শিল্পসামগ্রী মিলল শত মাইল দূরে, চমকিত প্রত্নতাত্ত্বিকরা

সিন্ধু সভ্যতার কর্মকাণ্ডের নিদর্শন গুজরাট বা মহারাষ্ট্রের উত্তর অংশে পাওয়া গিয়েছিল ঠিকই, তবে সেখান থেকে শত ক্রোশ দূরের জায়গার সঙ্গে হরপ্পার যোগ ছিল তা এবার জানতে পারলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

Published by
News Desk

কয়েকজন প্রত্নতাত্ত্বিকের চমকে দেওয়া আবিষ্কার হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার ইয়াওয়াল এলাকায় এই প্রত্নতাত্ত্বিকদের দলটি খননকার্য চালাচ্ছিল। তখনই একটি জায়গায় মাটি খুঁড়ে তারা কিছু মাটির পাত্রের দেখা পায়।

শুরু হয় আরও সন্তর্পণে খোঁড়াখুঁড়ি। আর তাতেই মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসে সিন্ধু সভ্যতার সময় হরপ্পায় ব্যবহৃত বিভিন্ন মাটির তৈরি জিনিসপত্র।

বিভিন্ন মাটির জিনিসগুলি পরীক্ষা করে প্রত্নতাত্ত্বিকরা নিশ্চিত হন যে এমন পাত্র হরপ্পায় ব্যবহার করা হত। কিন্তু সেখানে হরপ্পার জিনিস পৌঁছবে কীভাবে? এখানেও কী তখন মানুষের বাস ছিল?

যেগুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলি সিন্ধু সভ্যতার শেষের দিকে ব্যবহার হত। ফলে তার বয়স ৩ হাজার বছর আগে বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। অর্থাৎ তখন এখানে মানুষের বসতি ছিল!

যে মাটির বিভিন্ন পাত্র পাওয়া গিয়েছে তার গা উজ্জ্বল। বড় ও ছোট বিভিন্ন আকারের পাত্র। অনেকগুলির গায়ে কিছু আঁকা নেই। কিছুর ওপর আবার আঁকা রয়েছে।

আঁকা রয়েছে গাছ, পাখি, পশু, মাছ এবং এমন অনেককিছু। পাত্রগুলি অধিকাংশই লালচে রংয়ের। যার গায়ে লাল ও কালো দিয়ে রং করা। অনেকগুলি পাত্রে ছিদ্র রয়েছে।

জলগাঁওতে উদ্ধার হওয়া হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন, ছবি – আইএএনএস

প্রত্নতাত্ত্বিকদের আরও একটি বিষয় অবাক করেছে। এখানে ৩ হাজার বছর পুরনো হরপ্পা সভ্যতার পাত্র যেমন পাওয়া গিয়েছে তেমনই এখানে ১৫ ও ১৬ শতকের জিনিসও পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে তাঁরা মনে করছেন এই বিশাল সময় ধরে একটানা এখানে মানুষের বসবাস ছিল। দূরদূরান্তের সঙ্গে যোগাযোগও ছিল।

যদিও সবে ৫০০ বর্গফুট এলাকায় খনন চালিয়েই এতটা আশ্চর্য হয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। এখনও সেখানে খননকার্য চলছে। সকলেই মুখিয়ে আছেন এটা দেখার জন্য যে আর কী চমক অপেক্ষা করছে সকলের জন্য। প্রসঙ্গত এর আগে এই জায়গায় কোনও খননকার্য হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk