পুলিশের সঙ্গে ছোট্ট অমিত, ছবি - আইএএনএস
শিক্ষা কি কেবলই পুঁথিগত? প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত কতজন? এ প্রশ্ন আদি অনন্তকালের। আর তা এখনও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। করোনা এদেশে থাবা বসানোর পর দেড় বছর কেটে গেছে। শুরু থেকে সরকার থেকে চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানুষকে বলে আসছে সকলে যেন মাস্ক পরেন।
মানুষ পরছেনও। আবার এঁদের মধ্যেই একটা একটা অংশ রয়েছেন যাঁদের দেড় বছরেও বোঝানো যায়নি মাস্কের গুরুত্ব। তাঁদের শিক্ষা দিচ্ছে এক স্কুলে যেতে না পারা ৫ বছরের শিশু।
যে নিজে মুখে মাস্ক তো দিয়েছেই। সেইসঙ্গে হাতে একখানা হলুদ ডাণ্ডা নিয়ে কারও মুখে মাস্ক না দেখলেই ধমক দিচ্ছে তোমার মাস্ক কোথায় বলে। শিশুটির ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়ে চড়ে বসে হিমাচল প্রদেশের ধরমশালার পুলিশ।
উত্তর ও পশ্চিম ভারতের অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই এখন হিমাচলে ভিড় জমাচ্ছেন। ফলে সেখানে পর্যটক বাড়ছে। তাঁদের অনেকের মুখে মাস্ক থাকছে না। যার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে ধমক দিয়ে বেড়াচ্ছে ৫ বছরের অমিত।
বাবা-মা বেলুন বেচে সংসার চালান। অতিদরিদ্র পরিবারের অমিতের বাস একটি বস্তি এলাকায়। কিন্তু ৫ বছরের অমিত যে সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছে তা অনেক শিক্ষিত মানুষ, বয়স্ক মানুষ দিচ্ছেন না।
এটা ধর্মশালা পুলিশকে আকৃষ্ট করে। তারা অমিতকে পোশাক কিনে দিয়েছে। খাবার দিয়েছে। আর বানিয়ে দিয়েছে পুলিশের সচেতনতা ম্যাসকট।
এখন আর ডাণ্ডা হাতে ঘোরে না অমিত। এখন পুলিশের গাড়ির বনেটে বসে এলাকায় এলাকায় করোনায় মাস্ক পরার গুরুত্ব সকলকে বোঝায় ছোট্ট শিশুটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা