উটের পিঠে চড়ে চলেছেন শিক্ষক, ছবি - আইএএনএস
অতিমারি সব বয়সের মানুষের জীবনেরই ছন্দ নষ্ট করেছে। বড় ধাক্কা খেয়েছে পঠনপাঠন। স্কুল বন্ধ। ফলে স্কুলের পড়াশোনা এখন অনলাইনেই করতে বাধ্য হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু তাই বা কতটা সম্ভব প্রত্যন্ত গ্রামে।
সেখানে মোবাইলের ব্যবহারই বা কত? তায় আবার ইন্টারনেট এবং অনলাইনের জন্য গুগল মিট বা জুম ক্লাস! কিন্তু এসব সরঞ্জাম না থাকার কারণে পড়াশোনা বন্ধ তো হতে পারেনা। তাই তা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এবার এগিয়ে এল উটেরা।
মরুভূমির জাহাজ বলা হয় উটদের। এবার উটেরা তাদের পিঠে করে পড়ার বই, খাতা, পেন-পেন্সিল, সবই নিয়ে চলেছে বাড়ি বাড়ি।
এসবের সঙ্গে তাদের পিঠে জায়গা পাচ্ছেন শিক্ষকরাও। তাঁরাও উটের পিঠে পৌঁছে যাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি। সেখানে গিয়ে পড়ুয়াদের পড়ার বই, খাতা, পেন, পেন্সিল দেওয়ার পাশাপাশি পড়াও বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তাও আবার উটের পিঠে বসেই।
এদিকে বাড়ির দরজায় পড়াশোনার সরঞ্জাম থেকে শিক্ষককে পেয়ে বেজায় খুশি ছাত্রছাত্রীরাও। তারাও প্রবল উৎসাহ পাচ্ছে এই নয়া বন্দোবস্তে। এটাই এখন শুরু হয়েছে রাজস্থানের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়।
স্কুলে যেতে না পারলে কী হবে, এবার স্কুলই উটের পিঠে চেপে হাজির হচ্ছে দরজায় দরজায়। এতে পড়াশোনার উৎসাহ যেমন নতুন করে ফিরে পাচ্ছে পড়ুয়ারা, তেমনই পঠনপাঠনও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এগোনোর একটা নতুন দিশা পাচ্ছে। যা অবশ্যই ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখতে সাহায্য করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা