চারধারে প্রবল করোনা সংক্রমণ, রেহাই পেল ৭টি গ্রাম
তাদের আশপাশেই করোনা ছড়িয়েছে হুহু করে। ঘরে ঘরে সংক্রমণের খবর। এই পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও ৭টি গ্রাম রেহাই পেল করোনা সংক্রমণ থেকে।
৭টি গ্রামের এমন একজনও নেই যিনি করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। অবাক হওয়ার মত শোনালেও করোনা এ দেশে থাবা বসানোর পর থেকে প্রায় দেড় বছর হতে চলা সময়কালে এই ৭টি গ্রাম কিন্তু করোনার প্রকোপ থেকে দূরে।
এসব গ্রামের মানুষজন জানেন না করোনার ভয়াবহতা। জানেন না আইসোলেশন বা করোনার জেরে শারীরিক অবনতির চেহারা কেমন হয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই এখনও পর্যন্ত করোনা থেকে দূরে থাকার অসাধ্য সাধন করে দেশের ৭টি গ্রাম এখন খবরে।
করোনা হরিয়ানা জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। এখনও হরিয়ানায় সংক্রমণ ভালই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হরিয়ানা জুড়েই কঠিন সময় উপহার দিয়েছে।
এরমধ্যেই সিরসা জেলার ৭টি গ্রাম যেন কোনও এক জাদুবলে করোনাকে দূরে রেখেছে তাদের থেকে। গ্রামগুলি হল মাখা, মুসলি, বুধিমেদি, ধানি সতনম সিং, ডোগরা ওয়ালি, মোডি এবং জোরিয়া।
গ্রাম পিছু এখানে বাসিন্দার সংখ্যা ৫ হাজারের মত করে। এত মানুষের বাস নিয়ে তৈরি প্রতিটি গ্রাম কিন্তু কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সঠিক পদ্ধতি মানলে করোনাকেও রোখা যায়।
কী যাদু দেখিয়েছেন এই গ্রামের মানুষজন? এখানকার গ্রাম প্রধান করোনা যখন গত বছর প্রায় শুরুর মুখে তখনই গ্রামের লোকজনকে নিয়ে করোনা বিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে বৈঠক করেন। জানিয়ে দেন এসব গ্রাম থেকে কেউ বাইরে যাবেননা। কেউ বাইরে থেকে আসবেন না।
গ্রামে থাকাকালীন কেউ পরিবারের বাইরে কারও খুব কাছে আসবেন না। মানতে হবে নিয়মিত স্যানিটাইজেশন। আর মুখে মাস্ক তো ঘর থেকে বার হলেই পরতে হবে।
এই নিয়মের অন্যথা না এসব গ্রামের মানুষজন করেছেন, না এখানকার গ্রাম প্রধানরা করতে দিয়েছেন। যার হাতে গরম ফল সামনে। করোনাও হার মেনেছে তাঁদের এই সঠিক নিয়ম মানার সামনে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













